রা’জনীতিতে আ’পাতত সক্রিয় হচ্ছেন না বেগম খালেদা জিয়া। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সরাসরি দল পরিচালনার দায়িত্বও নিচ্ছেন না তিনি। বড় ছে’লে তা’রেক র’হমানই ভা’রপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।এ ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া পেছন থেকে ভূমিকা রাখবেন অ’ভিভাবকের মতো।
দে’বেন প্র’য়োজনীয় নি’র্দেশনা । ভা’রপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নীতিনির্ধারকদের সাথে পরাম’র্শ করে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কর্মকা- চালিয়ে যাবেন বলে বি’এনপির শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।তারেক রহমান ২০০৮ সালের পর থেকেই লন্ডনে রয়েছেন।
এক-এগারো স’রকারের স’ময়ে কারাগারে চরম অ’সুস্থ হয়ে পড়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তখন তাকে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তি পেয়ে তিনি যু’ক্তরাজ্যে যান। এখন তি’নি অনেকটাই সুস্থ।
তবে বৈরী রা’জনৈতিক প’রিবেশের কারণে ইচ্ছা থাকলেও দেশে ফিরতে পারছেন না।তারেক রহমানের ঘ’নিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, দেশে ফিরতে না পারলেও ভা’রপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দল পরিচালনায় তিনি সরাসরি ভূমিকা রাখছেন। একটি সুসংঠিত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তিনি গড়ে তুলেছেন।
দলের নী’তিনির্ধারণী সব সি’দ্ধান্তই তার কাছ থেকে আসছে। এ ক্ষেত্রে সিনিয়র নেতারা তাকে প্রয়োজনীয় পরাম’র্শ দিচ্ছেন অথবা প্রয়োজন মনে করলে তারেক র’হমান নিজেই সবার মতামত নিয়ে বৃহৎ এই দলটি পরিচালনা করছেন।
মু’ক্তির পর এখনো খা’লেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা শুরু হয়নি। করো’নার কারণেই সেটি সম্ভব হচ্ছে না। খালেদা জিয়ার চি’কিৎসায় দলীয় চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি টিম রয়েছে। তাদের এক-দুইজন নিয়মিত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ফলোআপ করছেন।
এ ছা’ড়া পুত্রবধূ জো’বায়দা রহমান নিয়মিতই তার চিকিৎসার তদারকি করছেন।এদিকে ছয় মাসের মুক্তি হিসাব করলে স’রকারের নির্বাহী আদেশের মেয়াদ আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া এই আদেশের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করবেন।
এ নিয়ে কাজ শু’রু ক’রেছে বিএনপি। এরই মধ্যে দলের একাধিক আইনজীবীর সাথে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।নেতারা বলছেন, করো’নার কারণে পরিস্থিতি ভিন্ন থাকায় এখনো কোনো হাসপাতা’লে চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হয়নি খালেদা জিয়ার।
সে কারণে চি’কিৎসার বি’ষয়টিকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। সেদিক থেকে ছয় মাস সময় পার হলেও প্র’থমত তার সুচিকিৎসার কাজটিই অগ্রগণ্য থাকবে।
খা’লেদা জিয়ার আই’নজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যে কারণে ম্যা’ডামকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, সে কারণ এখনো রয়েছে।
করো’নার কারণে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়নি। তার চিকিৎসা সম্পূর্ণ হয়নি। স্বাভাবিক কারণে প্রয়োজনবোধে আ’বারো সরকার সময় বৃদ্ধি করতে পারে মানবিক কারণে।
তবে এটির জ’ন্য আ’বেদন করতে হবে। যেহেতু তার মুক্তির প্রক্রিয়াটি নির্বাহী আদেশে হয়েছে, সে কারণে আবারো আবেদন করার মধ্য দিয়ে সময় বাড়ানোর অনুরোধ করতে হবে।