ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় আ’গামীকাল বুধবার রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।রামমন্দির নিয়ে আন্দোলনের পুরোনো যোদ্ধাদের এই অ’নুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে খবর রটেছে।
জানা যায়, বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি ও মুরলী মনোহর যোশী নাকি অনুষ্ঠানে যো’গদানের আমন্ত্রণ পাননি। এ নিয়ে ভারতের রা’জনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি আগামীকাল অযোধ্যায় যাবেন। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা থাকবেন তিনি।
রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ভূমিপুজায় অংশ নেবেন তিনি। ধারণা করা হয়েছিল, রামমন্দির স্থা’পনের আন্দোলনের পুরোনো নেতা লালকৃষ্ণ আ’দভানি ও মুরলী মনোহর যোশীকেও এই অনুষ্ঠানে সশরীর উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।
১৯৮৪ সালের পর বিজেপির অন্যতম রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা আসলে ছিল অযোধ্যার বাবরি ম’সজিদের স্থানে রামমন্দির নির্মাণ।এই অ্যাজেন্ডা সামনে রেখেই ফের উত্থান হয় বিজেপির। এরপর ধর্ম ও বিভক্তিকে মূল সূত্র মেনেই ১৯৯১ সালের নি’র্বাচনে শতাধিক আসনে জিতেছিল লালকৃষ্ণ আদভানির বিজেপি।
এরপরই ঘটে বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা।রামমন্দিরকে ঘিরে তৈরি বিজেপির মূল অ্যাজেন্ডার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন লালকৃষ্ণ আদভানি।১৯’l৯০–এর দশকে রথযাত্রা বের করে মন্দির ই’স্যুকে আলোচনার কেন্দ্রে এনেছিলেন আদভানি।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের কাঠামো ধ্বংসের অনুষ্ঠানে প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তি’নি। এখনো তাঁর বিরুদ্ধে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে মদদ দেওয়ার মামলা চলছে। চলছে মুরলী মনোহর যো’শীর বিরুদ্ধেও।অথচ সেই আদভানি ও যোশীকেই ভুলে গেল মোদির বিজেপি।
নিন্দুকেরা বলছেন, বিজেপিসহ পুরো ভারতে মোদি হ’তে চান একমেবাদ্বিতীয়ম।প্রচারের আলো আর কা’রও ওপর থাকুক, তা তিনি চান না। আর তাই আদভানির মতো বর্ষীয়ান নেতাদেরও ভুলে থাকতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি।
এ’নডিটিভির খ’বরে বলা হয়েছে, দিল্লি থেকে বিশেষ ফ্লাইটে করে বুধবার সকালে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি। অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে মোদির সঙ্গে থাকবেন আরও চার ব্যক্তি।