ফিলিপাইনে আবারও শুরু হয়েছে ম’হামারি ক’রোনাভা’ইরাসের তান্ডব। তাতে করে দেশের ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ধসে পড়তে পারে বলে চিকিৎসকরা সতর্ক করে দেন।
প’রিস্থিতি নি’য়ন্ত্রণে আনতে রাজধানী ও আশেপাশের বেশ কয়েকটি প্রদেশের লাখ লাখ মানুষকে ন’তুন করে দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, দুই সপ্তাহের জন্য লুসোন দ্বীপের ম্যানিলা সহ চা’রটি প্রদেশের লাখ লাখ লোককে বাড়িতে থা’কার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। জুনে কঠোর লকড়াউনে ধীরে ধীরে তুলে দেয়ার পর করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়তে শুরু করে। সংক্রমণের সংখ্যাও লাখ ছাড়িয়ে যায়।
গত রোববার ৫ হাজার ৩২ জন নতুন করে সংক্রমণের রেকর্ড করে।কিছু কিছু অঞ্চলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর ধারণ ক্ষমতা ধসে পড়ে। এই অ’বস্থায় দেশের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ভা’ইরাসের প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনার জন্য প্রেসিডেন্ট রোদ্রেগো দুতার্তকে কঠোর লকডাউন জারি করার আহ্বান জানান।
লকডাউনের সময় জরুরি প্রয়োজন যেমন- নিত্যপ্রয়োজনীয় খা’দ্যসামগ্রী, ওষুধ ক্রয় ও হালকা ব্যায়াম ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ।বন্ধ করা হয়েছে গ’ণপরিবহন ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল। রেস্টুরেন্টগুলোও বন্ধ করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা আশা করছেন, নতুন এই কড়া বিধি নিষেধের ফ’লে স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। লকডাউনের আ’ওতায় থাকায় মানুষজন খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যেতে পারবে না।
স্থগিত করে দে’ওয়া হয়েছে গণপরিবহন চলাচল এবং সবধরনের ফ্লাইট।সীমিত করে দেওয়া হয়েছে রে’স্টুরেন্টের কার্যক্রমও।
পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মোট আ’ক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে ১ লাখ ৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
এর মধ্যে রবিবারই ক’রোনায় আক্রান্ত হয় ৫ হাজারের বেশি মানুষ। মোট আ’ক্রান্তদের মধ্যে মৃ’ত্যু হয়েছে ২ হাজার ১০৪ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ৬৫ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ।