পা’রিবারিক সহিং’সতার যেসব ঘটনার অভিযোগ কর্তৃপক্ষের কাছে আসে তার সিংহভাগের ক্ষেত্রে নি’র্যাতিত নারীটি এসব ঘটনা প্রকাশ করেন। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীর নারীদের এক তৃতীয়াংশ তাদের জীবনে শা’রীরিক বা যৌ’ন সহিং’সতার শি’কার হয়।
সে’ই তুলনায় পরিবারের পুরুষ সদস্যের ও’পর সহিং’সতার বি’ষয়টি যেমন অনেক কম আলোচনায় আসে, তেমনি এ ধরণের ঘটনা খুব বেশি ঘটেও না।তার ভাষ্য মতে, আমাদের কোনো আর্থিক সমস্যাও ছিল না। এর মধ্যে পৃথিবীর অনেকগুলো দেশও ঘুরে আসি আমরা দু’জন।
আ’মরা যখন অন্য কোথাও ভ্রমণ করতাম, তখন তাকে ভয় পেতাম না। সে মানুষের সামনে আমাকে নি’র্যাতন করে না।তবে ও যেন আমাকে একা না পায়, সেই বি’ষয়টা নিশ্চিত করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র কিছুদিন আগে আমি বুঝতে পারি যে, আমার সাবেক স্ত্রী দশ বছর ধরে আমাকে ধ’র্ষণ করছে। ইরা আমার জীবনের প্রথম নারী ছিল।
ই’রার সাথে শুরুর দিকে যখন যৌ’নমিলন হতো, সেসময় আমার আগ্রহ ছিল যৌ’নসঙ্গমের। কিন্তু স্বেচ্ছায় হলেও আমাদের যৌ’নমিলন ঠিক স্বাভাবিক ছিল না। তা ছিল ক’ষ্টকর এবং আগ্রাসী।কিন্তু কিছুদিন পরই আমি যখন তাকে ‘না’ বলা শুরু করলাম, তখনই আমি ধর্ষিত হওয়া শুরু করি। একবার ব্যবসার কাজে আমার দীর্ঘদিনের জন্য বিদেশ যেতে হয়।
আ’মার ভয় হয় যে কাজ শেষে দেশে ফিরে আমি হয়তো ইরাকে আর ফিরে পাবো না। তাই আমি তাকে আমার সাথে যাওয়ার প্রস্তাব দেই। এমনকি সফরে যাওয়ার আগে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাবও দেই আমি।আমি ও ইরা দু’জনই চিকিৎসকের সাথে একসাথে আলোচনা করতাম।
ঐ ‘সময়ই আমি প্রথমবার কোনো চিকিৎসকের সামনে যৌ’ন নি’র্যাতনের অভিযোগ তুলতে সক্ষম হই।আর সেগুলো বলার পর ইরা ভীষণ ক্ষি’প্ত হয়ে ওঠে। সে বলতে থাকে যে আমার অভিযোগ মিথ্যা। তবে ঐ ঘটনার পরপরই সে ডিভোর্সের পরামর্শ দেয়।
আ’মিও সুযোগ হাতছাড়া করিনি।একমাস পর যেদিন ডিভোর্সের কাগজ হাতে পাই, সেটি ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন।
ডি’ভোর্সের পর একদিন আমি চি’ৎকার করে তাকে বলি, “তুমি আমাকে ধ’র্ষণ করছিলে?”
সে উ’ত্তর দিয়েছিল, “ধ’র্ষণ করছিলাম? তো কি হয়েছে!!” সেদিন তার কথার উত্তর দিতে পারিনি আমি, এখনও সেই উত্তর জানা নেই। তবে সে অন্তত স্বীকার করেছে অভিযোগ, যদিও এ নিয়ে হাসাহাসিই বেশি করেছে।