নিজস্ব প্রতিনিধি: অধিদপ্তর, আঞ্চলিক পরিচালক অফিস, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ, কুমিল্লার নিয়ন্ত্রণাধীন ইটাখোলা মন্দির ও বিহার এবং রুপবান মূড়া মন্দির ও বিহার পরীক্ষামূলক টিকেট চালুকরণ উদ্বোধন।
২০১৯-২০ খ্রি. অর্থ-বছরে ১লা জানুয়ারি ২০২০ খ্রি.
সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, আঞ্চলিক পরিচালক অফিস, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ, কুমিল্লা কর্তৃক ইটাখোলা মুড়া ও রুপবান মুড়া প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটে পরীক্ষামূলক টিকেট ব্যবস্থা চালুকরণের জন্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানীয় সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর সম্মতি ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ হান্নান মিয়া এর নির্দেশনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোঃ আতাউর রহমান । এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. আহমেদ আব্দুল্লাহ, ফিল্ড অফিসার জনাব মোঃ শাহীন আলম, ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান (চ.দা.) জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম, গবেষণা সহকারী জনাব মোঃ ওমর ফারুকসহ আঞ্চলিক পরিচালক দপ্তর ও ময়নামতি জাদুঘর দপ্তরের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারিবৃন্দ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
ইটাখোলা ও রুপবান মুড়া প্রত্নতাতাত্ত্বিক সাইটে প্রধান অতিথি ড. মোঃ আতাউর রহমান উভয় গেটে ১০ টাকার টিকেট কাটার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকেট ব্যবস্থার শুভ উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথির পাশাপাশি আঞ্চলিক দপ্তর ও ময়নামতি জাদুঘর দপ্তরের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারি টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করেন, এ সময় অনেক দর্শনার্থীও টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করেন। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোঃ আতাউর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন ইটাখোলা ও রুপবান মুড়া কুমিল্লা অঞ্চলে শালবন বৌদ্ধ বিহারের মত সমসাময়িক দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট। এখানে ১৯৮৪ খ্রি. প্রত্নতাত্ত্বিক খননের পর থেকেই সাইট দুটি অবহেলিত অবস্থায় পরে আছে। বর্তমানে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটে টিকেট ব্যবস্থা চালুকরণের মাধ্যমে একদিকে যেমন সরকারি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে সাইটগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কার-সংরক্ষণ ও প্রত্ন-পর্যটন উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যার মাধ্যমে কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধ বিহারের মত ইটাখোলা ও রুপবান মুড়া সকল প্রকার দর্শনার্থীদের কাছে আন্তর্জাতিকমানের একটি প্রত্ন-পর্যটন হিসেবে গড়ে উঠবে। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ড. মোঃ আতাউর রহমান সকলকে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন।
উল্লেখ্য যে ইটাখোলা ও রূপবান মুড়ার প্রত্নতাত্ত্বিক এ নিদর্শন দুটি শালবনবিহারের ন্যায় সকাল ৯.০০টা থেকে বিকেল ৫.০০টা পর্যন্ত সপ্তাহের সবদিনই খোলা থাকবে!