‘আ’মি জা’নতাম তৈরি পোশাক খাত এদেশের অর্থনীতির বড় শক্তি। আর সে খাতের উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনীতির বড় ভরসার জায়গা।
অ’থচ ক’রোনাভা’ইরাসেের প্রভাব জনিত অর্থনৈতিক স্থবিরতা শুরু হতে না হতেই প্রথম সাহায্যের জন্য হাত পেতেছে অর্থনীতির এই শক্তিশালী খেলোয়াড়রাই।
অ’র্ডার না’ই এই অসহায়ত্ব দেখিয়ে শ্র’মিকের বেতন দেয়ার জন্য স’রকারের নিকট থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা মাত্র ২% সুদে পেয়ে তারপর ফ্যাক্টরি খোলার তো’ড়জোড় শুরু হলো। এর মাঝে শ্র’মিকদের নিয়ে নি’র্মম অনেক নাটক দেখেছে আমার মত বোকা দর্শক।
গত ২৬ এ’প্রিল থেকে আবার চলছে ফ্যাক্টরি। পোশাক কারখানার বেশিরভাগ শ্র’মিক কাজ করে ৪ থেকে ৭ নং গ্রেডে। ফলে গড়ে একজন শ্র’মিকের মূল বে’তন দাঁড়ায় মাসে ৮৯০০ টাকার মতো।
স’রকারের প্রণোদনা পাওয়ার পরেও অনেক ফ্যাক্টরি ঠিকমতো বেতন দেয়নি, আবার ঘোষণা দিয়ে এপ্রিল মা’সের বেতন ৬০% দেয়া হয়েছে। এখন বিজিএমইএ সভাপতি বলছেন জুন মাস থেকে শ্র’মিক ছাঁটাই শুরু হবে, মালিকদের নাকি কিছুই করার নাই।
অর্থাৎ, মা’ত্র ২% সুদে শ্র’মিকদের বেতন দেয়ার জন্য যতোটুকু অর্থ পাওয়া গেছে তা দেয়ার পর, এক পয়সাও নিজের পকেট থেকে খরচ করতে চান না তারা।
এখন এই দু’র্দিনে শ্র’মিকদের পাশে দাঁড়াতে না পারলে কিসের শক্তিশালী শিল্পপতি?অর্ডার যদি অর্ধেকও হয়ে যায় তারপরও এত বছর ব্যবসা-বাণিজ্য করে শ্র’মিকের কয়েক মাসের বেতন চা’লানোর মত ক্ষমতা কি তৈরি হয়নি?
না হয় নি’জের স’ঞ্চয় থেকে কিছু খরচ হল।বিভিন্ন সময় যখনই নিম্নতম মজুরি বেড়েছে, বাড়িয়ে দেয়া দেয়া হয়েছে দৈনিক পোষাক তৈরীর টার্গেট। শ্র’মিকের উ’পরে প’ড়েছে বাড়তি চা’প। শ্র’মিক তার শরীরের সঞ্চিত শক্তি দিয়ে বাড়িয়েছে মালিকের লাভ আর সঞ্চয়।
এখন না হয় ক’টা মা’স কম অর্ডার এর কাজ শ্র’মিকরা একটু হেসে খেলে করলেন, একটু স্বস্তিতে কাজ করলেন। শ্র’মিকদেরকে কয়েক মাসের জন্য এইটুকু স্বস্তি দেয়ার ক্ষমতাও কি মালিকদের নেই?
জা’তির এ’ই দুর্দিনে শ্র’মিকদের পাশে যদি শিল্পপতিরা না দাঁড়ান তবে আমাদের জনগণের টাকায় কেন দেবো ক্যাশ সাবসিডি, প্রণোদনা কিংবা রপ্তানি উন্নয়ন ফান্ডের টাকা? উন্নয়ন কার জন্য, যদি দুর্দিনে আপনারা কোন কাজে না লাগলেন?