যা’কে অ’ন্ধকার জগতে নামতে বাধ্য করেছিলেন একাধিক পরিচালক এবং প্রযোজক। অথচ নিশা নুর নামে ওই দ’ক্ষিণী অভিনেত্রী তখন দক্ষিণী সি’নেমার বিখ্যাত নাম। কমল হাসান, রজনীকান্ত সহ একাধিক শীর্ষ নায়কের সঙ্গে কাজ করেছিলেন নিশা। তামিল, তেলেগু এবং মালায়ালম-তিন ভাষার ছবিতেই অভিনয় করতেন তিনি।
বা’লাচন্দ্রণ, ভিশু, চন্দ্রশেখরের মতো তখনকার সময়ে নামী সব প’রিচালকের ছবিতে কাজও করেছিলেন।গ্ল্যা’মার আর বিখ্যাত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ফিল্মি ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন নীশা। বরাবরই স্বপ্ন দেখতেন ক’মল হাসান, র’জনীকান্তদের সঙ্গে সিনেমা করার।
৮০-র দশকে ফি’ল্ম ই’ন্ডাস্ট্রিতে পা রাখা নিশা ১৯৮৬ সালে কল্যানা আগাথিগাল, ১৯৯০ সালে আইয়ার দ্য গ্রেট এবং ১৯৮১ সালে টিক টিক টিক-এর মতো ছবিতে অভি’নয় করে য’থেষ্টই খ্যাতি পেয়েছিলেন নিশা। এহেন নিশা আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান।প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় পরে চেন্নাইয়ের রাস্তার ধারে একটি দরগার সামনে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
গ্ল্যামা’রার্স নি’শার চেহারা তখন একেবারেই অস্থি-চর্মসার। মা’থা থেকে শ’রীর সর্বত্র উঁকুনে ভর্তি। ঠিক করে ক’থাও বলতে পারছিলেন না নিশা। চেন্নাইয়ের তামাবারামে একটি হা’সপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। যাবতীয় পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর জানা যায় নিশার শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণব্যাধি এডস।
খ্যা’তির শিঃরোনামে থাকার সময়ই নিশাকে অন্ধকার জগতের ব্যবসায় নামতে বাধ্য করেছিলেন কয়েকজন প্রযোজক এবং পরিচালক। দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডা’স্ট্রিতেও জা’নাজানি হয়ে যায় তার খবর। এর জেরে নি’শার সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকার করেন প্রথ’মসারীর নায়করা। এমনকী, অন্যান্য সব অভিনেতা-অভিনেত্রীও আস্তে আস্তে নিশার সঙ্গে কাজ করতে অ’স্বীকার করেন।হাতে কাজ না থাকায় আর্থিক অনটনে পড়েন নিশা।
এর পরেই আ’চমকা একদিন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন এই নায়িকা। রা’স্তার ধার থেকে উদ্ধার হওয়ার সময় নি’শার শা’রীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। এডসে আ’ক্রান্ত নিশা ২০০৭ সালে মারা যান। ফিল্মি ই’ন্ডাস্ট্রির অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া নিশাকে শেপর্যন্ত নিজের জীবন দিয়েই এর মূল্য চোকাতে হয়। নিশার মতো হাল যেন কারোর না হয়, তা আজও নাকি প্রার্থনা করেন অভিনেত্রীরা।