ক’রোনাভা’ইরাসেের ভ্যা’কসিন নিয়ে আশার কথা শোনালেন বাং’লাদেশি ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রেজওয়ানুল ওয়াহিদ। তিনি ঢাকা মেডিকেল ক’লেজ (ঢা’মেক) থেকে পাস করা একজন চিকিৎসক।
ব’র্তমানে ই’উনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের সেন্টার ফর ভ্যা’কসিন ডে’ভেলপমেন্টে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কা’জ করছেন। যে’খানে তিনি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ গবেষক হিসেবে কাজ ক’রছেন।
জা’গো নি’উজের পাঠক ও লাইভের দর্শকদের জন্য ডা. রে’জওয়ানুল ও’য়াহিদের কাছে নানা প্রশ্ন তুলে ধরেন ফ্যা’কাল্টি, কলেজ অব মেডিসিন, ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা, পরিপাকতন্ত্র এবং লি’ভার বিশেষজ্ঞ ডা. বি এম আতিকুজ্জামান।ডা. রেজওয়ানুল ওয়াহিদ : ভ্যাকসিন বলতে আমরা এমন একটি প্রো’ডাক্ট বুঝি, যেটি আমরা গ্রহণ করলে বা আমাদের শ’রীরে দিলে একটি নির্দিষ্ট রো’গে’র বি’’রুদ্ধে প্রতিরোধ করে বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে।
সা’ধারণভাবে এ’টাকেই আমরা ভ্যাকসিন বলি।ডা. বি এম আতিকুজ্জামান : একটি ভ্যাকসিন যদি তৈরি করতে হয়, তাহলে সেই ভ্যাকসিনকে কী কী ধাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়?ডা. রেজওয়ানুল ওয়াহিদ : যে ভ্যা’কসিন আ’মরা নেব, সেগুলোর কিছু বেসিক গুণাবলি থাকতেই হবে।
যেমন- এটি নি’রাপদ হতে হবে। এটা যে কারণে আমি নেব, এই রো’গ প্রতিরোধক ক্ষমতাটি যেন ওই রো’গের বি’রুদ্ধে ডেভেলপ করে। আমা’রা যখন একটি ভ্যা’কসিন বা’জারজাত করি, সেটা কতদিন পর্যন্ত তার কার্যকারিতা বহাল থাকবে সেটাও একটা খুব উল্লেখযোগ্য ব্যাপার।
যে’মন ধরুন,একটা জনসন অ্যান্ড জনসন এবং একটা মার্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমেরিকাতে মর্ডালেরা না’মের একটি কো’ম্পানি, ম্যাসেঞ্জার আরএনএ ১২৭৩ নামের একটি কোম্পানি তাদের ভ্যা’কসিন নি’য়ে আশাবা’দী। নোভা ভ্যাক্স নামের কোম্পানি তা’রা মাঠে নেমেছে, আমার একজন কলিগ (সহকর্মী) এটার সঙ্গে জ’ড়িত ছিলেন।
এছাড়া আ’রও ক’তগুলো ভ্যা’কসিন আছে, যা পুরনো আ’দলে তৈরি করার চেষ্টা চলছে অর্থাৎ ক’রোনাভা’ইরাসেটিকে মে’রে ফে’লে সেই মরা জী’বাণুটা আ’মাদের শরীরের ঢুকিয়ে দিয়ে একটা ভ্যাকসিনের যে চেষ্টা চলছে রুহানি ইনিস্টিটিউশন ফর বায়োলোজিক্যাল প্রোডাক্ট এবং সাইনোফা কোম্পানির স’হায়তায় ফেজ-১ ট্রায়াল হয়েছে।ঠিক এই মুহূর্তে ১০০-এর অধিক প্রোডাক্ট আমাদের হাতে ছিল, যেগুলো আমা’রা বি’জ্ঞানী হিসেবে ট্রায়াল দিতে পেরেছি, পারছি।
একটি প্রো’ডাক্ট মানব শ’রীরে যাওয়ার আগেই অনেক দীর্ঘ কাজ থাকে।শুধু একটি ভ্যা’কসিন প্রো’ডাক্ট পে’য়ে গেলেই হচ্ছে না, একটি ভ্যাকসিন যখন একজন রো’গীকে দেয়া হয় তার আগে নিশ্চিত হতে হয়।
ঘ’রের বা’ড়ির রান্না করা আর বিয়ের বাড়ির রান্না করা এক জিনিস নয়। আমি ১০ জন বা ১০০ জন মানুষের জন্য ডো’জ তৈরি করতে পারছি, কিন্তু এটা যখন ক’মার্শিয়াল প’র্যায়ে নেয়া হবে সেখানে টেকনোলজি ট্রান্সফার করতে কিন্তু প্রচুর সময় ও অর্থের প্রয়োজন হয়। যা’রা ট্রায়াল দেয়, তাদের মধ্যে শতকরা ১০ শতাংশ ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পারে। তারপরও আমা’রা আশাবা’দী।