নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের জগৎসাবাড়ির প্রাচীন পুকুরটিকে ১৫ দিনের মধ্যে আগের অবস্থা ফিরিয়ে দিতে আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা। সোমবার বিকালে তার কক্ষে পুকুর ভরাটকারীবৃন্দ এবং ‘বাপা’ ও ‘পরম’ নেতাদের উপস্থিতিতে তিনি এ আদেশ দেন। এ খবরটি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা। নির্ধারিত সময়ে পুকুর পুকুরের আগের অবস্থা ভটারকারীরা ফিরিয়ে আনতে না পারলে পরিবেশ আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের জগৎসাবাড়ি মোড় হতে ১০০ গজ দক্ষিণে জাফরাবাদ মৌজায় ৮২ শতাংশের চারশ বছর আগের একটি বড় পুকুর পুর্ব জাফরাবাদ এলাকার নুরুল ইসলাম গং ভরাট করে ফেলছিল। এ বিষয়ে পরিবেশ রক্ষা মঞ্চ পরমের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শরীফ সাদী ও বাপার কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সাইফুল ইসলাম জুয়েল গং ২ ডিসেম্বর পুকুর ভরাটের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি দেন। সে প্রেক্ষিতে ১৮ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত উভয় পক্ষকে ২৩ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় তার কক্ষে তথ্য-উপাত্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণসহ শুনানির জন্য উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। সে মোতাবেক সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দীর্ঘক্ষণ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ১৫ দিনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে অভিযুক্ত পক্ষ নুরুল ইসলাম গংকে নির্দেশ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট কাজী সুমন, বাপার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সাইফুল ইসলাম জুয়েল, বীরমুক্তিযোদ্ধা আ. রাজ্জাক,পরমের সদস্য সচিব কবি বাঁধন রায়, বাপার সদস্য তানভীর, দ্বীন ইসলাম, ফরিদ উদ্দিন, আজহার, মাহতাব আবু সিদ্দিক এবং অভিযুক্ত পক্ষের নুরুল ইসলাম গং।
প্রসঙ্গত, ‘করিমগঞ্জে ইউএনওর হস্তক্ষেপে পুকুর ভরাট বন্ধ’ শীর্ষক শিরোনামে স্থানীয় এবং জাতীয় ও অনলাইন মিডিয়ায় গত ২৮ নভেম্বর একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।