করিমগঞ্জে পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায় দূর্গাপুজা উপলক্ষে ১০ টি পূজা মন্ডপে যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য আনসার ভিডিপিকে নির্দেশনা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তসলিমা নূর হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পূজা মন্ডপ সমূহে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা বিষয়ে পুজা কমিটির সাথে আলোচনা করা, আতশবাজি, পটকা, বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকাসহ সর্বদা সতর্ক থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তসলিমা নূর হোসেন।
এ সময় থানার ওসি (তদন্ত) নাহিদ হাসান সুমন, করিমগঞ্জ উপজেলা আনসার ভিডিপি করকর্তা বখতিয়ার হোসেন, প্রশিক্ষক মাহবুবুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা জানান, এবার ১০ টি পুজা মন্ডপে ২০ জন সদস্য ২ শিফটে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা মোবাইল টিম পরিচালনার জন্য ২ টি গাড়ি ব্যবহার করবেন বলেও এ প্রতিবেদক কে জানান।
জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট জে এম ইমরানের তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় ২ টি গাড়ি নিয়ে মোবাইল টিমের মাধ্যমে তারা এ কাজটি করবেন বলে নিউজমনিটর কে জানান।
প্রতিটি পূজা মন্ডপে কমিটি কর্তৃক ভেটিং করতঃ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের আইডি কার্ডসহ দায়িত্বে নিয়োজিত করা, পূজা উদযাপন কমিটি কর্তৃক পূজামন্ডপে দর্শনার্থীদের ব্যাগ, পোটলা ইত্যাদি নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করা, পূজামন্ডপ কমিটি কর্তৃক পূজামন্ডপসমূহে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিশ্চিত কল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, পূজা কমিটি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট পুলিশ ইউনিটের সাথে সমন্বয় করে বিসর্জনের পূর্বে শোভাযাত্রার রুট নির্ধারণ করা এবং কোন অবস্থাতেই শোভাযাত্রার রুট পরিবর্তন না করা, মাইক ব্যবহারে অন্যান্য ধর্মের প্রতি সম্মান রাখা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করা, পূজা কমিটি কর্তৃক পূজা মন্ডপে সিসিটিভি/ভিডিও ধারণের ব্যবস্থা করা এবং পূজা কমিটি কর্তৃক প্রতিমা বিসর্জনস্থলে মাইক ও আলোর ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা মুলুক আলোচনা করা হয়।