করো’নার ওষুধ স্বা’স্থ্যমন্ত্রীর কাছে হ’স্তান্তর, বি’না মূল্যে পাবে মা’নুষ।
করো’না রোগীদের জন্য তৈরি ওষুধ ‘রেমডিসিভির’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে হস্তান্তর করেছে বেক্সিমকো। আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে) ওষুধটি হস্তান্তর করা হয়েছে।ওষুধটি হস্তান্তরের সময় জানানো হয় করো’নায় আ’ক্রান্ত জটিল ও মুমূর্ষু রোগীদের আরোগ্যের ক্ষেত্রেই বেক্সিমকোর তৈরি রেমডিসিভির ওষুধ অধিক কার্যকর হবে।এছাড়া জটিল ও মুমূর্ষু রোগীদের আরোগ্যের জন্যই বেশী প্রয়োগ করা হবে এ ওষুধটি।
এ ও’ষুধটি কেবল সরকারি হাসপাতা’লে বিনামূল্যে দেয়া হবে।এদিকে, যু’ক্তরাষ্ট্র ও জা’পানের পর বাংলাদেশ করো’না রোগীদের ক্ষেত্রে এই ঔষধ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে৷ তবে করো’নার মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার শুরু হলেও মূলত এই রেমডিসিভির ইবোলায় আ’ক্রান্তদের প্রতিষেধক হিসেবেই প্রস্তুত করা হয়েছিল৷
এ বি’ষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘‘রেমডেসিভির অ্যান্টি ভাই’রাল ওষুধ৷ একসময় ইবোলাতে ব্যবহার হতো৷ এখন ‘ই’মা’র্জেন্সি অথোরাইজেশন’ দিয়েছে আ’মেরিকার দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রা’গ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)৷ একজন রোগীর সুস্থ্য হতে যেখানে ১৫ থেকে ১৬ দিন লাগে, সেখানে এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে ১১ দিনে তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠবেন৷’
’করো’না রোগীদের চিকিৎসায় রেমডিসিভির নামের একটি ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যু’ক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর৷ গত ৭ মে ওষুধটি করো’না রোগীদের ওপর প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে জা’পান সরকারও৷
রে’মডিসিভির এর উদ্ভাবক মা’র্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস৷ এলডিসি বা স্বল্প আয়ের দেশের তালিকায় থাকা দেশগুলোর জন্য প্রদত্ত মেধাস্বত্ত্ব সুবিধার আওতায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো এটি উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়৷