ক’রোনার টিকা আ’সতে আরও ১৬ মা’স সময় লা’গতে পারে’- বি’শ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রা’ণঘাতী ক’রোনাভা’ইরাসে (নোভেল-১৯) বিপর্যস্ত পুরোবিশ্ব। এরইমধ্যে প্রায় তিন লাখ মানুষের জীবনহানি ঘটে এ ভাইরাসে। তবে, শুরু থেকে ভাইরাসের টিকা নিয়ে কাজ যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে কবে নাগাদ বাজারে আসবে তা এখনও অনিশ্চয়তায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
এ’রই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের টিকা আসতে আরও ১৬ মাস সময় লাগতে পারে। জাতিসংঘের আর্থ-সামাজিক পরিষদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে সোমবার তিনি এ তথ্য জানান।
কো’ভিড-১৯ রোগ মোকাবেলায় কার্যকর নীতি প্রণয়ন নিয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।ডব্লিউএইচওর প্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা শুরু হয়েছে গত জানুয়ারি মাসে। এ কাজে আরও ১০ থেকে ১৬ মাস সময় প্রয়োজন।
তি’নি এ সংক্রান্ত গবেষণার কাজে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইউরোপ এই কাজে ৮০০ কোটি ডলারের যে বাজেট দিয়েছে তা যথেষ্ট নয়।টেড্রোস আধানম এমন সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাজেট নিয়ে এ তথ্য জানালেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সংস্থাকে দেয়া আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন।ট্রাম্প দাবি করছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের সঙ্গে আঁতাত করে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য বিশ্বকে দেরিতে জানিয়েছে। এই ভাইরাস যে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তা ২২ জানুয়ারি নিশ্চিত করে।
ট্রা’ম্প দাবি করছ্নে, সংস্থাটি আরও আগে বিষয়টি বিশ্বকে জানাতে পারত।মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার দেশে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রকোপ ঠেকাতে তার প্রশাসনের মারাত্মক ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতে এ ধরনের অভিযোগ আনছেন।কারণ আমেরিকায় করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রকোপ শুরু হয়েছে মার্চ মাসে। ট্রাম্পের ভাষায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি ২২ জানুয়ারি দেরি করেও এ তথ্য জানিয়ে থাকে, তবু আমেরিকা এক মাসের বেশি সময় হাতে পেয়েছিল।
কি’ন্তু নিছক অবহেলা করে ট্রাম্প প্রশাসন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়।উল্লেখ্য উল্লেখ্য গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
এ’খন পর্যন্ত বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আর এতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৮৭। মোট ১৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।