ক’রোনাভা’ইরাস ম’হামারির কারণে গত মার্চে দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ লকডাউন নির্দেশনার পা’শাপাশি তার অনুরোধ ছিল, এমন বিপদের সময় যেন কাউকে চাকরিচ্যুত করা না হয়। তবে বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন ৷
প্র’ধানমন্ত্রীর নি’র্দেশনা সত্ত্বেও ভারতে ইতোমধ্যেই প্রায় ১৩ কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন বলে এক জ’রিপে জানা গেছে৷ এসব ভুক্তভোগীর মধ্যে একজন স্কুলশিক্ষক পাট্টেম ভেঙ্কট সুব্বাইআহের৷
ল’কডাউনের স’ময় স্কুলের চাকরি হারিয়ে এখন রাস্তায় রাস্তায় কলা বিক্রি করছেন টানা ১৫ বছর শিক্ষকতা করা এ ব্যক্তি।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘জানিয়েছে, স্কু’লশিক্ষক হিসেবে সুব্বাইআহের মাসিক আয় ছিল ১৬ হাজার ৮০০ রুপি৷
এখন ক’লা বি’ক্রি করে দৈনিক ২০০ টাকাও রোজগার করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷স্কুলশিক্ষক সুব্বাইআহের জানিয়েছেন, মার্চে লকডাউন ঘোষণা হতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ এক ধাক্কায় বেতন অর্ধেক করে দেয়৷ এখানেই শেষ নয়, বেতন ৫০ শতাংশ কমানোর প’রও ক’য়েকজন শিক্ষককে চাকরি ধরে রাখতে শর্ত দেয়া হ’য়, কয়েকদিনের মধ্যে নতুন ৭-৮ জন ছাত্র ভর্তি করাতে হবে৷
টা’র্গেট পূর’ণ না হলে সেই শিক্ষকের জন্য স্কুলের দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় ক’র্তৃপক্ষ৷চা’করি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন সুব্বাইআহের৷
কিন্তু স’ফল হ’তে পারেননি। তিনি বলেন, করোনা আতঙ্কের কারণে অনেকে বাড়িতে ঢুকতে দিতেই রাজি হয় না, স্কুলে ভর্তি তো দূরের কথা ৷ ফলে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে ছাত্র ভর্তি করাতে না পা’রায় চা’করি চলে যায় এ ভাষা শিক্ষককের৷এর মধ্যে পেটের দায় তো আছেই, সাড়ে তিন লাখ রুপি ঋণের বোঝাও রয়েছে তার কাঁধে।
দুই স’ন্তানের পি’তা সুব্বাইআহের সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য এই অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন ৷ এর জন্য প্রতি মা’সে আ’ট হাজার রুপি পরিশোধ করতে হয় তাকে৷ফলে আয় বন্ধ হতেই মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে পুরো পরিবারের ৷
বা’ধ্য হ’য়েই রা’স্তায় রাস্তায় কলা বিক্রি করতে হচ্ছে এ অসহায় শিক্ষক।এদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অন্ধ্র প্রদেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিতর্ক৷ ইতোমধ্যেই ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।