ক’রোনার (কোভিড-১৯) নাম শুনলেই এখন র’ক্ত হিম হয়ে যাচ্ছে অনেকের। হবে না-ই বা কেন, অতি ক্ষুদ্র এই ভাই’রাসটিই তো গো’টা বিশ্বকে স্থবির করে রেখেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের প্রা’ণ কেড়ে নিচ্ছে এই ক’রোনা।
যে কোন মৃ’ত্যুই এ’কটি অপূরণীয় ক্ষ’তি। কিন্তু আমরা যদি কোনো রো’গের ভ’য়াবহতার হিসেব করি, তাহলে ৮০০ কোটি মা’নুষের এই বিশ্বে দিনে ৪ হাজার ৫ হাজার মৃ’ত্যু কি ভ’য়ঙ্করতম কিছুর ইঙ্গিত দেয়? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের একটু পেছনে ফিরে তাকাতে হবে।
আ’মরা যদি গ’ত তিন মাসে বিশ্বব্যাপী মৃ’ত্যুর পরিসংখ্যানটা বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখব যে, ক’রোনা ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হয়ে এই সময়ে মা’রা গেছে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৭ জন।
আ’র ম্যা’লেরিয়ায় আ’ক্রান্ত হয়ে মা’রা গেছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৪ জন। এই একই সময়ে আত্মহ’ত্যা করে মা’রা গেছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯৬ জন। আর সড়ক দু’র্ঘটনার মৃ’ত্যু তার চেয়েও বেশি, ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৭৯ জনের।ক’রোনা নিঃস’ন্দেহে একটি ভ’য়ঙ্কর ভাই’রাস।
কিন্তু এই ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হয়ে য’ত মৃ’ত্যু হচ্ছে, তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি মৃ’ত্যু হচ্ছে ক্যানসার, সড়ক দু’র্ঘটনা এবং অ্যালকোহল ও ধূমপানে আসক্তির কারণে। প্রশ্ন হলো, তাহলে ক’রোনাকে কেন সবচেয়ে প্রা’ণঘা’তী ব্যাধি হিসেবে দেখানো হচ্ছে? চীন-আমেরিকা উ’ত্তেজনা বাড়িয়ে মিডিয়ার কাটতি বাড়ানোই কি এর নেপথ্য কারণ?
নাকি মা’স্ক, স্যা’নিটাইজারের মতো পণ্যগুলোর বিক্রি বাড়ানোর সূক্ষ কারসাজি এটা? নাকি এর পেছনে আছে আরও জটিল কোনো হিসেবে নিকেষ? উত্তর যেটাই হোক না কেন, এটা স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত যে, ক’রোনা বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রা’ণসংহারকারী নয়।
মশার কা’মড়ে প্রতিদিন গড়ে মা’রা যায় ২ হাজার ৭৪০ জন মানুষ। আর মানুষের হাতে মানুষ খু’ন হয় দিনে গড়ে ১ হাজার ৩০০ জন।
ক’রোনা অবশ্যই বি’পজ্জনক। কিন্তু তাই বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সত্য, অর্ধ সত্য এবং মিথ্যার মিশেলে কিছু খবর পড়ে ভ’য় না পেয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।
তা’হলেই এই ভাই’রাসটাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। কারণ ভ’য় নয়, সচেতনতাই পারে ক’রোনাকে পরাজিত করতে।