ক’রোনা পরিস্থিতি ও সৌ’দি স’রকারের সিদ্ধান্তের ও’পর নির্ভর করছে এ’বারের হজ।
এ ব’ছরের জুলাই মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় হজে অংশগ্রহণ ও পবিত্র কাবা শরীফ প্রদক্ষিণে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছেন বিশ্বের লাখো ধর্মপ্রা’ণ মু’সলমান। যদিও সৌদি স’রকারের সিদ্ধান্ত ও ক’রোনা পরিস্থিতির ও’পরই নির্ভর করবে এবারের হজ হবে কি হবে না।
ক’রোনাভা’ইরাসেের কারণে এ বছর পবিত্র হজ পালন বাতিল হতে পারে এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যে মু’সলমানদের হজের জন্য তাঁদের পরিকল্পনা বিলম্বিত করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব স’রকার।এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হজ পালনে স’রকার পরিচালিত সর্বনিম্ন ব্যয় তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে প্যাকেজ-৩ এর আওতায় হজ প্যাকেজ-২০২০ এর খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ।
হ’জের জন্য যাঁরা টাকা জমা দিয়েছেন তাঁদের আশ্বস্ত করে অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না। এবার হজে না যেতে পারলে আগামীবার যাবেন। আগামীবার না যেতে চাইলে টাকা ফেরত পাবেন। এ বি’ষয়ে আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি।’
চাঁ’দ দেখা সাপেক্ষে এ বছর আগামী ৩০ জুলাই (৯ জিলহজ) হজ হওয়ার কথা রয়েছে।বর্তমানের মতোই প্লেগ ও কলেরা রো’গের ম’হামা’রি, অন্যান্য প্রাকৃতিক দু’র্যোগের কারণে ইতিহাসে হজ বাতিলের ঘটনা আগেও ঘটেছে।১৮৫৮ সালে পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনায় কলেরা ম’হামা’রির মতো ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মিশরীয়কে লোহিত সাগরের সী’মান্তে পা’লিয়ে আসতে হয়েছিল।
তা’দেরকে দেশে ঢুকতে দেয়ার আগে কোয়ারেন্টাইনে যেতে বা’ধ্য করা হয়েছিল।উনিশ শতকের বেশিরভাগ সময়ে এবং ২০ শতকের শুরুতে কলেরা একটি বহুবছরব্যাপী হু’মকিতে পরিণত হয়েছিল এবং বেশ কয়েক বছর হজ বাতিলে বা’ধ্য করেছিল।প্লেগের কারণেও ইতিহাসে হজ বাতিলের ঘটনা ঘটেছে।
১৮৩১ সা’লে ভারতে কলেরা ম’হামা’রি হিসেবে দেখা দিলে হজ পালনে গিয়ে যাত্রাপথে হাজার হাজার হজযাত্রীর মৃ’ত্যু হয়।এমন বাস্তবতায় ঘন ঘন ম’হামা’রির প্রাদুর্ভাবের কারণে উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে প্রায়শই হজ বাতিলে ঘটনা ঘটে।