কিশোরগঞ্জে করিমগঞ্জ উপজেলার থানা সংলগ্ন এলাকার মোঃ হাবিবুর রহমান (হাবু মেম্বার)এর ছেলে বিল্লাল হোসেন সুমন (৩৫) করোনা আক্রান্তের উপসর্গ নিয়ে মারা যায়।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকাল প্রায় ৫ টায় সময় নতুন চালু হওয়া করোনা ভাইরাস (COVID-19) আক্রান্ত রোগীদের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রথম করোনা আক্রান্তের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
নিহতের প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, নিহত বিল্লাল হোসেন সুমন দীর্ধদিন ধরে ডায়াবেটিস ও হার্ট ডিজিজ জনিত রোগে ভুগছিলেন। প্রতিবেশী সূত্রে আরো জানা যায় বিগত ৭ এপ্রিল তার নিকটাত্মীয় একই উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নে করোনা আক্রান্তে মারা যাওয়া সেলিম মিয়া কে দেখতে গিয়েছিল এবং সেখান থেকে এসেই তার শরীরের জ্বর সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট উপসর্গ দেখা দেয়।
৭ এপ্রিল বুধবার বুধবার সন্ধ্যা সময় দিন তার শ্বাসকষ্ট সমস্যা তীব্র আকার ধারন করে। এবং নিহতের আত্মীয়-স্বজন তাকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং ১০ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে তাকে রেফার্ড করা হয় জলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তার অবস্থা যখন আস্তে আস্তে তীব্র আকার ধারণ করে তখন তাকে নতুন চালু হওয়া করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ১০ এপ্রিল বিকাল আনুমানিক পাঁচটার সময় ভর্তি করার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
নিহতের ভাই ইকবাল মিয়া জানান, ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় জ্বর সর্দি কাশি শ্বাসকষ্ট সমস্যা হওয়ায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করি। তিনি আরো বলেন, আজ যখন ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি এবং ভর্তি করায় তার কিছুক্ষণ পরেই মারা যায়।
এবিষয়ে করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, নিহত নিহত সুমন মিয়া কিছুদিন ধরে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন। আমি এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করেছি।
কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন বলেন, ৯ এপ্রিল নিহত সুমন মিয়া হাসপাতালে ভর্তি কালীন অবস্থায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে কি না তা পরিক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে।