কিশোরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের হরতালকে কেন্দ্র
করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। সোমবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ১ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহরাব মিয়া বাদী হয়ে সদর মডেল
থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আড়াই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবু বকর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হেফাজতের হামলা-ভাঙচুর ও তান্ডবের ঘটনায় সন্ত্রাস দমন ও
নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
এদিকে রোববার (২৮ মার্চ) হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করবেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রোববার রাতেই সাতজনকে আটক করা হয়েছে। শহরে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার হেফাজতে ইসলামের হরতালকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় হেফাজতের নেতাকর্মীরা কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। তারা বঙ্গবন্ধুর ছবিতেও অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বিপুল পরিমাণ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। কিশোরগঞ্জ শহরের গৌরাঙ্গ বাজার এলাকা থেকে পুরানথানা ইসলামিয়া মার্কেট পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।সংঘর্ষের ঘটনায় কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত করিম অমি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও পথচারী আহত হন।
এ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবু বকর সিদ্দিকসহ ১২ পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবল আহত হন।