কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ উদ্যোগে জেলা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
১০ নভেম্বর (মঙ্গলবার) কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বটতলায় লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি ( নিয়ন্ত্রণ ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ এর ১৩(২) ধারা মোতাবেক আল ছাফি প্যাথলজীকে ৫ হাজার টাকা ও হাজী ডায়গনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
ভুয়া বিশেষজ্ঞ দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করায় শিখা ডায়গনস্টিক সেন্টারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধন ২০১০) এর ৬(গ) ধারায় সিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা ও আপন ডায়গনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
মোট পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়
উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন ডা. মো. মুজিবুর রহমান, সিভিল সার্জন, কিশোরগঞ্জ, মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কিশোরগঞ্জ, ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ডেপুটি সিভিল সার্জন, কিশোরগঞ্জ; RAB -১৪ এর অধিনায়ক উপ-পরিচালক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম শোভন খান বিএন; হৃদয় রঞ্জন বণিক, সহকারী পরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জ; মোহাম্মদ সাঈদ, পরিদর্শক, পরিবেশ সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জ; আলম সরোয়ার টিটু জেলা ক্যাব সভাপতি; প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ অন্যান্যরা।
কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, জনস্বার্থে কিশোরগঞ্জ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।