কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকালে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে নির্যাতিত স্কুল শিক্ষিকা নাসরীন জাহান রেবা নিজেই এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।
রবিবার(১০ মে) কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে নিয়ামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছায়েদুজ্জান এর স্ত্রী নয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন জাহান রেবা ও তার ছেলে International Medical College anb Hospital এর এমবিবিএস শিক্ষার্থী মুহাইমিন আল ফুয়াদ এর উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার (৫ মে) বিকেল ৩ ঘটিকার দিকে আমার প্রতিবেশী ছিদ্দিক মিয়ার পুত্র মাদক মামলার আসামী ও মাদক ব্যবসায়ী আঃ কাইয়ুম গং আমার পুকুর থেকে জোর করে মাছ ধরে নিয়ে যেতে বাঁধা প্রদান করায় আমাকে মারধর করে এবং শ্লীলতাহানী করে। ঘটনার প্রতিবাদ করায় আমার স্বামী নিয়ামত পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.ছাইদুজ্জামান, আমার একমাত্র International Medical College এর এমবিবিএস পড়ুয়া ছেলে, আমার দেবরকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, প্রায় সময় আমাদেরকে নিযার্তন করে আসছিল কিন্ত সরকারী চাকুরী ও লোক লজ্জার ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। বর্তমানে তাদের নিযার্তন আর সহ্য করতে পারছিনা। তাই আমার স্বামী বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার স্মারক নং ১৬৯৮(২) ০৬/০৫/২০। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে পিটিয়ে আহত করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়েছে। দোষীদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তাদেরকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষিকা নাসরীন জাহান রেবা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কিশোরগঞ্জ জেলা ও উপজেলা শাখার নেত্রীবৃন্দ ও নিযার্তিত পরিবারের সদস্যরাসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল হক মামলার কথা স্বীকার করেন এবং একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে বলে জানান।