কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে যানজট নিরসনে নতুন পদক্ষেপ
কিশোরগঞ্জ জেলা সদর পৌর সভার রাস্তা এখনো ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে উঠতে পারছে না। পৌরবাসীর ধারণা কিশোরগঞ্জ সদর পৌরসভার অনন্যা জেলা সদর পৌরসভা থেকে শত বছর পিছিয়ে রয়েছে। রাস্তার দুপাশে গড়ে উঠা পার্কিং ছাড়া বহু অপরিকল্পিত ভবন যার বেশির ভাগে রয়েছে ক্লিনিক, শপিংমলসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যে কারণে প্রতিনিয়ত রাস্তার দুপাশে রিক্সা, অটোরিক্সা(ইজি বাইক), মোটর সাইকেল ও মালামাল আনলোডের জন্য দাড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের জন্য যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছেন, বিখ্যাত ব্যক্তিদের প্রাণের এই শহর কিশোরগঞ্জ। বিড়ম্বনায় পড়তে হয় স্কুল, কলেজ, কোর্ট, হাসপাতালের যাতায়াত করা জনগণ। সঠিক সময়ে রোগী হাসপাতালে না পৌছতে পেরে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে অনেক রোগী। সমাজের দায়ীত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ মুখ না খুললেও রাস্তাঘাটের এহেন অবস্থার জন্য তারাও অতিষ্ঠ।
পৌরসভার যানজট নিরসনে চলতি বছরের ৩ মার্চ শহর সার্ভিস উদ্ধোধন করেন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ ও জেলা প্রসাশক, পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশ ও হলুদ ইজিবাইক মালিক সমিতির আয়োজনে। ট্রাফিক পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং হলুদ ইজি বাইক মালিক সমিতি ও পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশের সহযোগিতায় যানজট কিছুটা হলেও লাঘব হয়।
পৌরসভার লাইসেন্সকৃত ৬শত ইজি বাইকে পৌরসভায় চলাচল করার অনুমতি দেয়া হয়।এবং ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি হলুদ ইজি বাইক মালিক সমিতির নিয়োগকৃত কিছু ব্যক্তি ও পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশ শহর সার্ভিস নিয়ন্ত্রণে একত্রে কাজ করে যাচ্ছে। শহরে হলুদ রঙ করা লাইসেন্সধারি ৬শ ইজি বাইক ছাড়া যেন লাইসেন্সবিহীন ইজি বাইক প্রবেশ না করে সে জন্য অনেক প্রচার প্রচারণাও করেন। এত প্রচার প্রচারণার পরে যারা পৌর সভার ভিতরে প্রবেশ করে এবং নিয়োজিত ব্যক্তিদের চোখে পড়ে তখন তারা শাস্তি স্বরুপ ইজি বাইকের সীট আটকা দিয়ে শাস্তি প্রদান করেন।
লাইসেন্সবিহীন অটোরিক্সার শাস্তির ধারাবাহিতায় ২৭ অক্টোবর আটক করে তা উল্টিয়ে রাখা হয়।
ইজি বাইকের চালক বলেন, উল্টিয়ে রাকার কারণে ইজিবাইকের ব্যাটারীর এসিড পড়ে তা বডির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। যে ইজিবাইক ২ বছর চালানোর কথা সেটা উল্টানোর কারণে ৬/৭ মাস চালানো যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইজি বাইকের অনেক চালকেরর কাছ থেকে জানা যায়, হলুদ ইজি বাইক মালিক সমিতির নিয়োগকৃত ব্যক্তিরা টাকার বিনিময়ে শহরে লাইসেন্সবিহীন ইজি বাইক ঢুকার মৌখিক অনুমতি দিয়ে দিচ্ছে এবং তাদের টাকা না দিলে সীট নিয়ে যাবে বলেও হুমকি প্রদান করে।
এব্যাপারে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রসাশন) শেখ এম এ করিম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এমন ঘটনা আমি আগে শুনিনি। আমরা শহরের যানজট নিরসনে সর্বোচ্ছ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
যানজটের কারণে শহরতলি এলাকায় চাঁদাবাজদের দৌরাত্মও বেড়ে গেছে। তা দিন দিন কঠিন আকার ধারণ করছে। যদি প্রশাসন অতি শিঘ্যই ব্যবস্থা না নেন তাহলে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম আরো বেড়ে যাবে বলে অনেকে মনে করেন।
পৌরবাসি মনে করেন যেকোন উপায়েই যানজট, চাঁদাবাজি নিরসন হউক। তার জন্য প্রশাসনের যেকোনো সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাবেন।