বাড়ি ও আবাসস্থল মানুষের মৌ’লিক প্রয়োজনগু’লোর অন্যতম। মানবজীবনে শা’ন্তি ও স্থিতি’র জন্য ঘরবাড়ি অ’পরিহার্য। পবিত্র কোরআনেও ঘরবাড়ির গু’রু’ত্ব তুলে ধ’রা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমা’দের ঘরকে করেন তোমা’দের জন্য আবাস’স্থল এবং তিনি তোমা’দের জন্য পশুর চামড়ার তাঁবুর ব্যবস্থা করেন—তোমর’া
তাকে সহজ মনে কর ভ্রম’ণকালে ও অবস্থানকালে।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৮০) মানবিক এই প্রয়োজনের ঊর্ধ্বে ছিলেন না নবী-রাসুল’গণ। তাঁরাও মানবিক প্রয়োজন মেটাতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। তবে তাঁদের ঘরবাড়ি ছিল প্রদর্শন ও অর্থহীন জৌলুস’মুক্ত। প্রি’য় নবী মুহা’ম্ম’দ (সা.)ও নিজের জন্য আবাস তৈরি করেছিলেন; যে ঘর মানুষকে মনে করিয়ে দেয় এই জীবন চিরদিনের জন্য নয়,
বরং মুমিনের জন্য পরকালীন জীবনই প্রকৃত আবাস। ম’দিনায় হিজরত করার পর রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদে নববি নির্মাণ করেন। মসজিদের পাশেই তাঁর দুই স্ত্রীর জন্য নির্মাণ করেন দুটি কক্ষ, যার একটি সাওদা বিনতে জামআ (রা.) ব্যবহা’র করতেন এবং অন্যটি আয়েশা (রা.)। নির্মাণকালে কক্ষ দুটি ছিল মসজিদের পূর্ব দিকে। তখন কিবলা ছিল বায়তুল মোকা’দ্দাস। কিবলা পরিবর্তন
হওয়ার পর কক্ষ দুটি পশ্চিম দিকের দেয়ালের ওপাশে এবং নামাজের স্থা’ন থেকে বাম পাশে চলে যায়। অন্য কক্ষগু’লো পরবর্তী সময় প্রয়োজন অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়। তবে মসজিদের দেয়াল ও ঘরগু’লোর মধ্যে পাঁচ গজের মতো দূরত্ব ছিল। মস’জিদে নববির পাশের ও সংল’গ্ন ভূমির মালিক ছিলেন হারিস ইবনে নোমান (রা.)।
সেখানে তাঁর বাড়ি ছিল। কিন্তু তিনি তা মহানবী (সা.)-এর প্রয়োজনে ছেড়ে দেন। তিনি উপহার হিসেবে ছেড়ে দিলেও রাসুল (সা.) তাঁকে উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ করেন। তাঁর পুরো বাড়িই রাসুল (সা.) ও তাঁর পবিত্র স্ত্রীদের জন্য ব্যবহৃত ‘হতো। (আল ওয়াফা বি-আহওয়ালিল মোস্তফা, পৃষ্ঠা-২৬০) সেখানে মোট ৯টি ঘর নির্মাণ করা হয়। অবকাঠামোতে কাঁচা ইট ও খেজু’রের ডাল ব্যবহার করা
হয়। চারটি ঘরের সামনে পাথরের দেয়াল বা বেড়া ছিল। অন্যগু’লোর সামনে শ’ক্ত মাটির দেয়াল ছিল, যেন কেউ সহজেই ঢুকে যেতে না পারে। প্রতিটি ঘরের ছিল দরজা ও জানালা। হাদিসের বর্ণনা থেকে পাওয়া যায়, আয়েশা (রা.)-এর ঘরে এক পাল্লা’বিশিষ্ট কাঠের দরজা ছিল এবং তার সামনে পর্দা ঝোলানো থাকত। কোনো কোনো ঘরের
সামনে ছোট কক্ষও ছিল। সে ক্ষেত্রে মূল কক্ষে লাকড়ির তৈরি দরজা থা’কত এবং ছোট কক্ষের দরজায় প’র্দা ঝোলানো থাকত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘরে সাধারণ পশমের তৈরি কাপড়ের পর্দা ব্যবহৃত ‘হতো। স্ত্রীদের জন্য তৈরি ঘরগু’লো ছিল অ’প্রশস্ত। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতের বেলা নামাজ আ’দায়ের সময় আয়েশা (রা.)-এর হাতের তালু তাঁর পায়ের নিচে পড়েছিল
—এ থেকেই ঘরের উচ্চতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। হাসান বসরি (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি উসমান (রা.)-এর শাসনামলে রাসুল (সা.)-এর স্ত্রী’দের ঘরে প্রবেশ করেন। তিনি তাঁর হাত দিয়ে ছাদ স্পর্শ করেন।
Muchas gracias. ?Como puedo iniciar sesion?