আ’গামীকাল থেকে সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ‘হয়েছে এবং স’রকার অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্যে একটি ঝুঁ’কি নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বি’শেষ ক’রে যখন ক’রোনা সং’ক্র’মণ উর্ধ্বমূখী তখন স’রকার সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিলো এই প্রশ্ন উঠেছে অনেকের মধ্যে।
স’রকারের একাধিক দায়িত্বশীল মহল মনে করছে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে তাঁর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং ক’রোনার ক্ষ’তির চেয়ে অর্থনৈতিক ক্ষ’তি ভ’য়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।
এই সবমস্ত বা’স্তবতা বিবেচনা করেই স’রকার সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ঝুঁ’কিপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত হিতে বিপরীত হতে পারে বলে আ’শঙ্কা করছেন অনেক বিশ্লেষক। তাঁরা মনে করছেন, এই খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে স’রকার আরো নতুন স’ঙ্কটে পড়তে পারে।
এই ন’তুন স’ঙ্কটের ধরন-প্রকৃতিকে ৫ভাগে ভাগ করছেন বিশ্লেষকরা।১. জনস্বাস্থ্যের স’ঙ্কটক’রোনা শনাক্ত রো’গী এভাবে বাড়তেই থাকলে তাহলে ক’রোনায় মুমূর্ষূ রো’গীর সংখ্যা বাড়বে, মৃ’ত্যুহার বাড়বে, হাসপাতালগুলোতে জায়গা দেওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে।
শুধু ক’রোনা নয়, অন্যান্য চিকিৎসা প্রদানও কঠিন হয়ে পড়বে।
ফ’লে এ’টা স’রকারের উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং স’রকারকে জনস্বাস্থ্যের স’ঙ্কটে ফেলবে।
২. রা’জনৈতিক স’ঙ্কটসবকিছু খুলে দেওয়ার ফলে একটি নেতিবাচক মনোভাব এবং এক ধরণের অনাস্থা তৈরি হবে এবং এই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে বি’রোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
তাঁ’রা স’রকার জনবান্ধব নয়, স’রকার জনগণের কথা চিন্তা করেনা ইত্যাদি কথাবার্তা বলতে শুরু করবে, যা ইতিমধ্যে বিএনপি বলতে শুরু করেছে। ফলে স’রকারের উপর একটি রাজনৈতিক চা’প বাড়বে এবং ক’রোনা স’ঙ্কটের পাশাপাশি এই স’ঙ্কটও মোকাবেলা করতে হবে স’রকারকে।
৩. অ’র্থনৈতিক স’ঙ্কটঅর্থনীতিকে স’চল রাখার জন্য স’রকার সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে অর্থনৈতিক স’ঙ্কটের মুখে পড়তে পারে স’রকার। কারণ ক’রোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। কাজেই ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হবেনা। আর এই কারণে ক্ষুদ্র-মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ধরণের ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করবে।
সী’মিত আ’কারে অফিস-আ’দালত চালু করতে গিয়ে প্রচুর মানুষ কাজ হারাবে বলে অর্থনীতিবিদরা আ’শঙ্কা করছেন। সাথে সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক গতিতে না আসলে বা স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিলে অর্থনীতির যে গতি সঞ্চারের আশা তা না হয়ে বিপরীত ধারা লক্ষ্য করা যেতে পারে।
ফ’লে সব’কিছু খুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা হিতে বিপরীত হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।৪. বিদেশে বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হতে পারেবিদেশে বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিতে পারে।
কা’রণ ক’রোনা স’ঙ্কট মোকাবেলার জন্য অন্যান্য দেশগুলো যে পথ এবং পদ্ধতি অনুসরণ করেছে, সেই পথ এবং পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য না করে সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই খু’লে দে’ওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
বি’শেষ ক’রে যদি দীর্ঘ সময় ক’রোনা থাকে তাহলে বিদেশে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি করার ক্ষেত্রে নিত্যনতুন নি’ষেধাজ্ঞার আ’শঙ্কা করা হচ্ছে এবং এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক মহলে ন’ষ্ট হতা পারে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
৫. স’রকারের স’মন্বয়ের স’ঙ্কটশেষ পর্যন্ত যদি ক’রোনা স’ঙ্কট বাড়তে থাকে তাহলে রীতি অনুযায়ী আমলারা দ্বায় নেবে না, একে অন্যকে দোষারোপ করবে।
কা’র কত ব্য’র্থতা, দোষ ইত্যাদি খোঁজার প্রতিযোগিতা শুরু হবে এবং এর ফলে স’রকারের বিভিন্ন ম’ন্ত্রণালয় এবং বিভাগের মধ্যে তীব্র সমন্বয়হীনতা দেখা যাবে। এর ফলে স’রকারের কাজকর্মের গতি শ্লথ হয়ে যাবে, স্ববি’রোধী সিদ্ধান্ত সৃষ্টি হবে।
এর কার’ণে নতুন স’ঙ্কটে পড়তে পারে স’রকার।বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, খুলে দেওয়ার পর আগামী ৭ থেকে ১০ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই বি’ষয়গুলো দেখভাল করতে হবে।
তা’হলে যে উদ্দেশ্যে স’রকার সবকিছু খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সফল হবে।