বাং’লাদেশ প্র’কৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের নি’র্মম নি’র্যাতনে নি’হত ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তার ছোটভাই কুষ্টিয়া স’রকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ।
স্ট্যা’টাসে তি’নি লেখেন, ‘‘গত বছর রোজার এই সময় ঢাকাতেই ছিলাম দুই ভাই।
এ’ই স’ময়ে কোনো এক কারণে আমা’র মন খুব একটা ভালো ছিলো না।
ঈ’দের আগে কুষ্টিয়াতে চলে আসবো দুজন।
হঠা’ৎ দেখলাম ভাইয়া অনেকটা দৌড়ে আসছে।
এ’সে ব’লতেছে; টাকা তুলতে পারছিলাম না দেরি হইছে তাই।
ঐ তি’নদিনে আজিজ, এলিফ্যান রোড আর নিউ মা’র্কেট এর এমন কোনো দোকান মনে হয় ছিল না, যেটাতে গেছিলাম না।
প্র’থম দিন ইফতার এর সময়, আমি অবশ্য রোজা ছিলাম না।
ভা’ইয়া রোজা থেকেই সারাদিন ঘুরছিল আমা’র সাথে।
শু’ক্রবারে ঈ’দের আগে কি পরিমাণ ভিড় হয় তা তো জানিই। ভাইয়া আর দাড়াতে পারছিল না।
ব’লল চল স্টার এ যায়; ইফতার করবো।
কি’ন্তু একটা জায়গাও ফাকা ছিলনা।
ঘ’রোয়াতে গেলাম ঢুকার মতো উপায় নাই।
বা’ইরে এ’সে এক বোতল লেবুর শরবত কিনে স্টারের সামনের ম’সজিদে ঢুকলাম।
বৃ’ষ্টিতে ভিজতে ভিজতে, নামায পরে ফাকা হলে যাতে ইফতার করা যায়।
তা’রপর একটু রেস্ট নিয়ে আবার কি যেন কিনতে চলে গেলাম।
ঐ র’কম খা’রাপ সময়েও ঐ দিন পুরো সময় হাসছিলাম মনে আছে।
আ’র ভা’ইয়া বলছিলো মন খা’রাপ করিস না।
ঐ ক’লেজ বাদেও তো সবাই ভালো রেজাল্ট করে তাই না।
এ’খানে ভর্তি হ,আমা’র পাশে থাকবি।
দু’ই জন থাকবো এটাই ভালো হবে।
ক’য়দিন পর আম্মুকে নিয়ে আসবোনে।
এ’কটা ব’ছর কে’টে গেলো; আবার রোজা আসলো, কিন্তু— ঐ দিন গুলো আর আসবে না।
৭ মা’স।
ভা’লো থাক এইটাই এখন শুধু চাওয়ার আছে।