গ’রিব ছেলের সাথে এ’কই গ্রামের একটি গ’রিব মেয়ের বি’য়ে হয়,অতঃপর –
গরিব প’রিবারের একটি ছে’লের সাথেএকই গ্রামের একটি গরিব মে’য়ের বিয়ে হয়!
ছেলেটার ব’য়স 24 বছরের মত,আর মে’য়েটার ব’য়স 18 বছর!বিয়ের পর ছে’লেটা মেয়েটিকে বললেন,তোমার কি কোন ইচ্ছে আছে?
মেয়েটা বলল, আমার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার বড় আশা ছিল!
এরপর ছেলেটা মেয়েটাকে নিয়ে কোলকাতা চলে আসে।
মে’য়েটিকে ভার্সিটিতে ভর্তি করায়ে লেখাপড়া করায়।
ছেলেটা ভোর ৪ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পরিশ্রম করে।মেয়েটার লেখাপড়ার খরচ আর সংসার খরচ চা’লায়।
অনেকদিন হওয়ার পরও তাদের মধ্যেকোন স্বা’মী স্ত্রীর শা’রীরিক সম্প’র্ক হয় না!
মেয়েটার বন্ধু বান্ধব প্রশ্ন করে ছেলেটা কে?মেয়েটা উত্তর দেয়,সে আমার ভাই!
ছেলেটা কখনো রিক্সা চা’লায়, কখনো দিন মজুরি করে, কখনো ইট ভাটায় কাজ করে,আবার কখনো কুলির কাজ করে l
এভাবে মেয়েটার জন্য, নি’জের কথা না ভেবে তা তার জন্য টাকা রোজগার করে মে’য়েটাকে ইঞ্জিনিয়ার বানানো জন্য!হঠাৎ পরীক্ষা চলে আসলো!
মেয়েটার ও ছে’লেটার কারও চোখে ঘুম নাই।
ছেলেটা রাত দিন মিলে ২০ ঘন্টা কাজ কর্ম করে।
বাকি ৪ ঘন্টা সংসারের সব কাজ রান্না থেকে শুরু করে সব কাজ করে।এভাবে মেয়েটার পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল!
এরপর ছেলেটা একটু কাজ কমায়।পরীক্ষার ফলাফল মেয়েটা পাশ করলো!ভাল জায়গায় চাকরি পেল,অনেক টাকা পয়সা মালিক হলো।
বড় বাড়ি, গাড়ি আর অনেক কিছু হলো মেয়েটার ল
বিভিন্ন জায়গায় থেকে মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
কেউ জানে না, তার বিয়ে হয়ছে কিনা বা তার স্বা’মী কে?
মে’য়েটা বড় বাড়ি লাইটিং করে,বড় পার্টি দিয়েছে। কিন্তু কেউ জানে না কি জন্য এ পার্টির অয়োজন।
সবার একই প্রশ্ন এ কিসের পার্টি। সবাই মিলে মেয়েটিকে প্রশ্ন করলো এ পার্টি কি জন্য বলবেন?
মেয়েটি বলল ১২ টার সময় সবার সামনে বলবো কিসের পার্টি!ছেলেটা সেই লুঙ্গি গামছা আর ছেড়া একটা জামা গায়ে বাড়ির এক কোনায় দাড়িয়ে আছে!
১২ টা বেজে গেলো, এরপর মেয়েটা ছেলেটার হাত ধরে যেখানে কেক রাখাআছে সেখানে নিয়ে এল!সেখানে নিয়ে এসে সবাইকে বললেনঃ
-ভদ্র পুরু’ষ ও ম’হিলাগন, একে কেউ চিনেন?যার মাথার গাম পায়ে ফে’লে, নিজে খেয়ে না খেয়ে আমাকে লেখাপড়া করিয়েছে।
তার জীবনের সব সু’খ আমার জন্য বিসর্জন দিয়ে।এই আমার স্বা’মী যার সাথে বিয়ের পরকোন আমাদের শা’রীরিক সম্প’র্ক হয় না!
তাকে এই কাপড়ে রেখেছি,যাতে আপনারা তাকে চিনতে পারেন।
এই বাড়ি, গাড়ি, টাকা, তার গায়ের এক ফোটা ঘামের দামও না!
আমি তার স্ত্রী, আমার যা কিছু আছে তার ১০০ গুন দিলেও আমি আমার স্বা’মীকে ছেড়ে কোথাও যাবো না।
এটাই স্বা’মী স্ত্রীর ভালবাসা।(এটাই সত্যিকারের ভালোবাসা )