স’ম্প্রতি ভা’রতের প’শ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়া সুপার সাইক্লোন আম্পান সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালিয়েছে বলে সে রাজ্যের সরকার জানিয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা আর উত্তর ২৪ পরগণা, এই দুই জেলার সুন্দরবনের সর্বনাশ হয়ে গেছে বলে বুধবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
গো’টা সুন্দ’রবন অ’ঞ্চল এবং তার প্রত্যন্ত এলাকায় সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জিও।
এ’কদিকে যে’মন প’শ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে হাজার হাজার গাছ ধ্বংস হয়েছে, তেমনই ভেঙ্গে গেছে বহু নদী বাঁধ, বনপ্রহরীদের শিবির বা অরণ্যের ভেতরে থাকা বন বিভাগের ছোট ছোট দপ্তর।সুন্দরবনের কোর এরিয়ায় এখনও পৌঁছনো সম্ভব না হলেও ড্রোনের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের চারণভূমি এবং পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ আর ম্যানগ্রোভ অরণ্য।
রা’জীব ব্যা’নার্জি বি’বিসি বাংলাকে বলেছেন, একদিকে যেমন বনদপ্তরের পরিকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে, তেমনই ধ্বংস হয়েছে অরণ্যও। কোর এরিয়ার চারদিকে ১৩২ কিলোমিটার জুড়ে যে নাইলনের জাল দেওয়া ছিল, যাতে বনের বাঘ লোকালয়ে চলে না আসতে পারে, তা ঘূর্ণিঝড়ে সম্পূর্ণ উড়ে গেছে।
এ’ছাড়াও জ’ঙ্গলের ভে’তরে থাকা বনদপ্তরের রেঞ্জ অফিস, বিট অফিস, রক্ষীদের শিবির, সেখানে থাকা রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থা, জেটিও নষ্ট হয়েছে অনেক।সুন্দরবনের ভেতরে বহু এলাকায় নদীবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে পাশ্ববর্তী এলাকায় এখন লবণাক্ত জল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সু’ন্দরবন লা’গোয়া শ’ত শত গ্রামে যেমন বসতবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, তেমনই লবণাক্ত জল দাঁড়িয়ে থাকায় বোরো ধান কীভাবে চাষ করা হবে, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
কো’র এ’রিয়ায় ক্যা’মেরা লাগানো ড্রোনের সাহায্যে বোঝা গেছে যে ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছের সংখ্যা বিপুল।রাজীব ব্যানার্জি বলছেন, গাছ এবং পরিকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও বাঘসহ বন্যপ্রাণীদের ক্ষতি এখনও বনদপ্তরের নজরে আসেনি।