টা’ঙ্গাইলের মধুপুর উপজে’লার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের কয়েক গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। রোববার (১৭ মে) দিনগত রাতে অল্প সময়ের সংঘটিত ওই ঝড়ে এলাকার বাড়ি-ঘর ও ফসলাদি গাছপালার ব্যাপক ক্ষ’তি সাধিত হয়েছে।
ই’উনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলী জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক কিলোমিটারজুড়ে ঝড়টি বয়ে যায়। সৃষ্ট ওই ঝড়ে কুড়ালিয়া বাজারের বেশ কিছু দোকানপাট, কুড়ালিয়া বিকে উচ্চ বিদ্যালয়সহ বান্দারভিটা, কেওটাই, বানিয়াবাড়ি গ্রামের বসতভিটা, গাছপালা ও ক্ষেতের পাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষ’তি হয়েছে।
ঝ’ড়ে ঘর-বাড়ি লণ্ডভণ্ড, ফসলের ব্যাপক ক্ষ’তি।বাংলানিউজকুড়ালিয়া বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান জানান, তার বিদ্যালয়ের টিনশেড দু’টি শ্রেণি কক্ষ গাছ পড়ে ভে’ঙে গেছে। এতে চেয়ার টেবিল, বেঞ্চ ভে’ঙে চুরমার হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের মাঠের পাশের গাছপালা সব উপড়ে পড়েছে।
গা’ছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।এদিকে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ইতোমধ্যে ব্যাপক শক্তি অর্জন করে ধ্বং’সাত্মক রূপ ধারণ করেছে।
ঘূ’র্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃ’দ্ধি পাচ্ছে।
এ’রআগে বলা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃ’দ্ধি পাচ্ছে।