শি’ক্ষা মা’নুষকে জ্ঞানের আলো দেখায়। শিক্ষা মানুষকে ভালো জিনিস ভাবতে সাহায্য করে, ভালো কাজে অ’নুপ্রেরণা যোগায়। শিক্ষা সব সময় সব বয়সে গ্রহণ করা যায়। জীবনের সব ঘ’টনা থেকে শিক্ষা গ্র’হণ করা যায়।
মা’নুষ জ’ন্ম থেকে শুরু করে মৃ’ত্যুর আগে প’র্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করে। সেই শিক্ষা যেকোন কারোর থেকে আম’রা পেতে পারি।কিন্তু শিক্ষার এক বড় জায়গা হল মা স’রস্বতী। তাকে আম’রা বিদ্যার দেবী রূপে পুজো করি। আমা’রা ছোট থেকেই জে’নে এসেছি বই বা বিদ্যার কোন জিনিসে পা দিতে নেই।
কি’ন্তু আমা’রা আজ একটা ছবি দেখবো যেখানে দে’খতে পাবো যে একটি রিক্সায় এক মা তার বাচ্ছাকে নিয়ে স্কুল যাচ্ছে।সেখানে দেখা যাচ্ছে সেই মা তার হাতে মোবাইল ফোন ধ’রে আছে আর তার বা’চ্ছার ব’ই এর ব্যাগ পায়ের নীচে ধ’রে আছে। আমা’রা ছোট বেলায় যখন পড়তে বসতাম তখন পড়া শেষ হলে বই মাথায় ঠেকিয়ে নমস্কার করে উঠতাম।
কা’রন বই হল স’রস্বতী। সরস্বতীর স্থান আমাদের মাথায়। তাকে পায়ের নীচে রাখা খুব অ’পরাধের বি’ষয়।কিন্তু এই মহিলা এই কাজই করলেন। তার কাছে মোবাইল আগে, আর বিদ্যা প’ড়ে। এখন সবাই তথাকথিত শিক্ষায় শিক্ষিত। সবই পুঁথিগত শিক্ষা। কি’ন্তু এই ধ’রনের শিক্ষার কোন দাম নেই। আ’সল শিক্ষায় শিক্ষিত না হতে পারলে তাহলে শিক্ষা গ্রহণ করে আর লাভ কি?
কো’ন বাচ্ছার মা যদি এরকম কাজ করে তাহলে সেই বাচ্ছা মায়ের থেকে কি শিখবে?পড়ার বই এর ব্যাগ যে পায়ের নীচে প’ড়ে আছে, আর তা যে রীতিমত পা দিয়ে পিষছে তার বিন্দু মাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই এই মহিলার। কিছু মানুষ এমন আছে যারা টাকার জোড়ে শিক্ষাকে নিজে’র আয়ত্তে আনতে চায়। তাই তারা শিক্ষাকে সম্মান দেয়না। তারা শিক্ষার মূল্য যানেনা।
তা’ই তাদের কা’ছে বিদ্যা আজ পায়ের নীচে।এভাবেই আজ আমাদের সভ্যতা বোকা বাক্স, মোবাইল, ইন্টারনেট এসবের মধ্যে আ’টকে রয়েছে। এসবের মধ্যে সবাই এমনভাবে আ’টকে আছে যে তারা এক মোহের মধ্যে রয়ে গেছে। এখন শিক্ষা যত না ছ’ড়িয়ে পড়ছে তার থেকে বেশি ছ’ড়িয়ে পরছে ইন্টারনেটে ছবি।