বি’শ্বব্যাপী ছ’ড়িয়ে পড়া প্রা’ণঘাতী করো’নাভাই’রাসের বিস্তার রোধে গত ১৭ মা’র্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।
সূত্র বলছে, করো’নার প্রকোপ কমলেপরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করবে সরকার। সেক্ষেত্রে স্বা’স্থ্য অ’ধিদফতরের নির্দেশনা মেনে প্র’তিষ্ঠান চালাতে বলা হবে। যদিও এই চিন্তা-ভাবনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে।
মা’ধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাঅধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করো’না পরিস্থিতি ভা’লোর দিকে গেলে শি’ক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় ক্লাস পরিচালনা করা যাবে না। ক্লাসে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
টিবফিনে শি’ক্ষার্থীদের জটলাকরে আড্ডাও দেয়া যাবে না। ক্লাসে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে শিফট রে’শনিংয়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে দেশের শিক্ষা প্র’তিষ্ঠান এবং শি’ক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় এটি অনেকটাই কঠিন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কেননা অধিকাংশবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করতে হয়।
এক বেবঞ্চে চার থেকে পাঁচজন করে বসতে হয়। ফলে সামাজিক দূরত্ব প্র’তিষ্ঠা করা ক’ষ্টসাধ্য হবে বলে অ’ভিমত তাদের। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অ’ধিদফতরেরপরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, করো’নাভাই’রাসের সংক্রমণ কমে গেলে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলবে।
শি’ক্ষাপ্রতিষ্ঠান খু’লে দিলে যে জটলা সৃষ্টিহবে তা কী’ভাবে স’মন্বয় করা হবে তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সুস্থ আছেন কিনা- তা যাচাই করতে হবে। শি’ক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কা’রোনা রোগ নি’য়ন্ত্রণের পূর্ণ ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি ভালোর দিকে গেলেস্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি ভাবতে হবে। সে ক্ষেত্রে শিফটিং ও রেশনিং করে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রতি’ষ্ঠান খু’লে দিলে অনলাইনে ক্লাস চলবে, ভা’র্চ্যুয়াল ক্লা’সও চলবে।শি’ক্ষাপ্রতিষ্ঠান উল্লেখ্য, করো’নাপরিস্থিতির মধ্যে কী’ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে; সেটি জানিয়ে গত ২ মে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেয়া নির্দেশনাগুলো নিচে দেয়া হলো- ১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগেযাবে তাদের প্রবেশ নিষেধ করতে হবে।
৪. শ্রে’ণিকক্ষসহ মেঝে ও ঘরের দ’রজার হাতল, সিঁড়ির হা’তলসহ বিভিন্ন বস্তুর তলপৃষ্ঠ ঘন ঘন পরিষ্কার ও জী’বাণুমুক্ত করতে হবে। ৫. শিক্ষাদান কর্মক’র্তা ও শিক্ষার্থীদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।হাত ধোয়াসহ অন্যসব স্বাস্থ্যবিধি শক্তিশালী করতে হবে।
৬. দ্রু’ত হাত শু’কানো জী’বাণুনাশক বা জী’বাণুনাশক টি’স্যু ব্যবহার করুন। ৭. হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক ঢাকতে টিস্যু বা কনুই ব্যবহার করতে হবে।