জা’হান্নামের ভ’য় দেখিয়ে ১১ ছাত্রীকে ধ’র্ষ’ণ করে ‘বড় হু’জুর।
হু’জুরের কথা শোনা ফরজ, না শুনলে গুণাহ হবে। হুজুরের কথা না শুনলে জাহান্নামে যেতে হবে এমন আরও নানা ধরণের ফতোয়া দিয়ে গত তিন বছরে ১১ মাদরাসা ছাত্রীকে ধ’র্ষণ করেছেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভূঁইগড় এলাকায় দারুল হুদা মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক ‘বড় হুজুর’ মোস্তাফিজুর রহমান।
চা’রজন ছাত্রীকে ধ’র্ষণ ও যৌ’ন হ’য়রানির অভিযোগে শনিবার (২৭ জুলাই) র্যা’ব তাকে গ্রে’ফতার করে।তার বি’রুদ্ধে নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দ’মন আইনে মা’মলা হয়েছে। আজ রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে নি’র্যাতিত ছাত্রীদের পক্ষ থেকে একজনের অভিভাবক বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মা’মলা দা’য়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন র্যা’ব-১১ সিও কাজী শামসের উদ্দিন।
আ’টককৃত মো’স্তাফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জে’লায়। গত ছয় বছর যাবত তিনি মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছেন এবং পরিবার নিয়ে সেখানেই বসবাস করছেন।র্যা’বের সিও আরো জানান, প্রাথমিকভাবে চারজনকে ধ’র্ষণ ও যৌ’ন হ’য়রানির অভিযোগে তাকে গ্রে’ফতার করা হলেও পরবর্তীতে এগারোজনকে ধ’র্ষণ ও যৌ’ন হ’য়রানির প্রমান পাওয়া গেছে। নিজের মনগড়া মিথ্যা ফতোয়া দিয়ে, তাবিজ দিয়ে পাগল করা ও পরিবারের ক্ষ’তি করার ভ’য়ভীতি দেখিয়ে আট থেকে পনেরো বছর বয়সী এগারো ছাত্রীকে তার ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে ধ’র্ষণ ও যৌ’ন নি’র্যাতন করেছে বলে জি’জ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন বলে র্যা’ব জানিয়েছে। নিজের নিকট আত্মীয় এক শি’শু ছাত্রীকেও সে এসব কৌশল অবলম্বন করে ও ভ’য়ভীতি দেখিয়ে ধ’র্ষণ করেছে।
র্যা’বের সি’ও আরও জানান, মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান একটি ভুয়া হাদিস শুনিয়ে এবং সে হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ছাত্রীদের বোঝাতেন যে অভিভাবক ও সাক্ষী ছাড়াও বিয়ে হয়। এভাবে সে কয়েকজনকে বিয়ে করেছেন এবং সহবাস শেষে তিনি নিজেই আরেকটি ফতোয়া জারি করতেন।
‘তা’লাক’ হয়ে গেছে এমন ফতোয়া জানিয়ে কোনো একটি অ’পবাদ দিয়ে ওই ছাত্রীকে মাদরাসা থেকে বের করে দিতেন। এ ধরনের বেশ কয়েকটি অভিযোগের কথা তিনি স্বীকারও করেছেন। গ্রে’ফতারের পর মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান র্যা’বের জি’জ্ঞাসাবাদে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।