ক’রোনাভা’ইরাস ও ঘুর্ণিঝড় আম্পানের মধ্যেই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই ইঞ্জিন চালিত ছোট-ছোট নৌকায় যমুনা নদী পাড়ি দিচ্ছে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষজন। তবে ঝুঁকিনিয়ে নদী পাড় হওয়া বন্ধে পুলিশের কোন উদ্যোগই দেখা যায়নি। উল্টো তারা দাবি করেছে কেউ পাড় হচ্ছে না।আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে ) ভোর থেকেই ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর ফেরত এসব মানুষজনকে বিভিন্ন মাধ্যমে যমুনা নদীর ঘাটে আসতে দেখা গেছে।সরেজমিনে, বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব সংলগ্ন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বেলটিয়া যমুনা নদী ঘাট ও ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ঘাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ম’হাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য মানুষজন ঢাকা,চন্দ্রা, গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে আসছে ঘাটে নদী পাড় হতে।বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব হারবার পয়েন্টের কাছে সেতু কর্তৃপক্ষের তিন জন নিরাপত্তাকর্মী নদী পাড় হওয়ার জন্য আসা মানুষজনকে ঘাটের দিকে যাওয়ার জন্য সিগনাল দিচ্ছেন।উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গগামী এসব মানুষজন ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা, সিএনজি ও ভ্যানেকরে সেতুপূর্ব বেলটিয়া যমুনা ঘাটে যাচ্ছে।
সে’খান থেকে ইঞ্জিত চালিত ছোট-ছোট নৌকাযোগে জনপ্রতি ১শ টাকা ভাড়া দিয়ে যমুনা নদী পাড় হচ্ছেন।অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্বরে পুলিশের টহল দেখা গেলেও নৌকাযোগে পারাপার বন্ধে তাদের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।জানা গেছে, গত (১৭ এপ্রিল) গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মানুষজন নৌকাযোগে নদী পাড় হচ্ছিল। এতে নৌকাটি মাঝ নদীতে যাওয়ার পর ডুবে যায়।
প’রে নারী ও শি’শুসহ তিনজননিখোঁজ হয়। নদীতে উদ্ধার অভিযানে নেমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতরা বগুড়া জেলার বাসিন্দা ছিল।এ ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই আবারো ঘুর্ণিঝড় আম্পান ও করোনাভাইরাসের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট নৌকাযোগে নদী পাড়ি দিচ্ছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।আর এই সুযোগে ঘাটের নৌকার মাঝিরা পাচঁগুণ ভাড়া নিয়ে লোকজনকে নদী পাড়করছেন।
এ’তে দূর্ঘটনার পাশাপাশি হতাহতেরও আশঙ্কা রয়েছে। মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড় হলেও তা বন্ধে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেয়নি বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানা ও সেতুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি।এ ব্যাপারে ঢাকা ফেরত পঞ্চগড়গামী আরিফ বলেন, কাজ নেই। টাকাও নেই যে থাকবো। তাই বাড়ি যাচ্ছি ঝুঁকি নিয়েই।