করো’নাভাইরাস মহামারির কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার আশঙ্কা ছিল রাজধানীর ২০টি বস্তি। তবে দেশে কোনো বস্তি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বি’পর্যস্ত হয়ে পরেছে, এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।কড়াইল, চলন্তিকা, ভাষানটেক, বাউনিয়াবাঁধ, আবুলের বস্তি ও লালাসরাইয়ের ব’স্তির বাসিন্দাদের একই কথা, এখানে
করোনা আক্রান্ত কেউ নেই। সবাই বলছে, ‘এই বস্তি’তে কোনো করোনা রোগী নাই। এটা ধনীদের রোগ’। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটি’উটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরাজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাও বলেছেন, আমরা রাজধানীর বস্তিবাসীদের ওপর সমী’ক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি। সেখানে সংক্রমণের হার বেশি দেখছি না।তিনি বলেন,
আমি জ্বরে আ’ক্রান্ত কয়েকজনের নাম সংগ্রহ করেছিলাম যাতে তাদের পরীক্ষা’সহ অন্যান্য বিষয়ে সাহায্য করতে পারি। নাম নিয়ে ফিরে আসার কিছুক্ষণ পরই তাদের পরিবারের সদস্যরা আমার ঘরে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাদের অনুরোধ, আমি যেন জ্বরে আক্রান্তদের কথা কাউকে না জানাই। তাদের ভেতরে ভয়
ছিল যে তাদেরকে বহিরাগত বলে মনে করা হচ্ছে বা পুলিশ তাদের গ্রে’প্তার করে নিয়ে যাবে। কেউ কেউ বলেছিল যে তারা শুনেছেন কোয়ারেন্টিনে নিয়ে রোগীদের মেরে ফেলা হয়।মিরপুরে সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলেও চলন্তিকা, ভাষানটেক ও বাউনিয়াবাঁধ বস্তিবাসীদের মধ্যে এই সংক্রমিত রোগ
ছড়িয়ে না পড়া বেশ অবাক করার মতোই।ভাষানটেকের এক ওষুধের দোকানের স্বত্বাধি’কারী কৃষ্ণ দে জানান, তিনি প্রচুর পরিমাণে ফ্লুর ওষুধ বিক্রি করছেন। তবে, সেখানকার বাসিন্দাদের কেউই কখনও করোনা পরীক্ষার করানোর জন্য চে’ষ্টাও করেননি।