রা’জধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর গত শনিবার করো’না পজিটিভ এসেছে। করো’নার উপসর্গ হিসেবে যেগুলো বলা হচ্ছে তার কোনোটাই তার ছিল না।চার দিন ধরে তিনি কোনো খাবারের স্বাদ, গন্ধ পাচ্ছিলেন না।
দু’ই দিন পর শুরু হয় শরীরে ব্যথা, বমি। স’ন্দেহ হওয়ায় করো’না টেস্ট করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।করো’না চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত মুগদা জেনারেল হাসপাতা’লের কভিড-১৯ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ বলেন, ‘শুকনো কাশি, জ্বর, নিঃশ্বা’স বন্ধ হয়ে আসা এবং গলাব্যথা এগুলো ছিল পুরনো লক্ষণ।
এ’র সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে কাঁপুনি, পেশির যন্ত্র’ণা, মা’থা ব্যথা, কিছুতে স্বাদ না পাওয়া এবং কোনো কিছুতে গন্ধ না পাওয়া। এর সঙ্গে রয়েছে অ’তিরিক্ত দুর্বল বোধ হওয়া।তিনি আরও বলেন, ইতালিতে কভিড আ’ক্রান্ত শি’শুদের পায়ের পাতা ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
যা’র নাম দেওয়া হয়েছে ‘কভিড টো’, আবার পায়ের চামড়ার রং পরিবর্তন এবং শরীরে লালচে র্যাশ পাওয়া গিয়েছে কিছু কিছু রোগীর।’করো’নাতে আ’ক্রান্ত হওয়ার কোনো উপসর্গই নেই এমন মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র জ্বর, সর্দি-কাশি, শুকনো কাশি ও শ্বা’সক’ষ্ট’কে শুরুতে কভিড-১৯ এর উপসর্গ বলে ধরে নেওয়া হলেও যতই দিন যাচ্ছে করো’নার নতুন নতুন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
কাঁ’পুনি, পেশির যন্ত্র’ণা, মা’থা ব্যথা, কিছুতে স্বাদ না পাওয়া এবং কোনো কিছুতে গন্ধ না পাওয়ার মতো লক্ষণ যোগ হচ্ছে করো’নাভাই’রাসের উপসর্গের তালিকাতে।তারা বলছেন, নতুন যোগ হওয়া লক্ষণগুলোকেও করো’নার সিম্পটোমোলজির ভিতরে নিয়ে আসা হয়েছে, করো’নার গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ এবং ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। করো’না আ’ক্রান্ত এক গণমাধ্যমকর্মী বলেন, ‘আমা’র জ্বরের সঙ্গে ডায়রিয়া শুরু হয়েছিল। শ্বা’সক’ষ্ট কিংবা অন্য কোনো সমস্যা নেই। এখন জ্বর এবং ডায়রিয়া দুটোই কমেছে। সেরকম শারীরিক কোনো সমস্যাও নেই।
আ’ট দিনের মধ্যেই এসব সমস্যা কমে গেছে।রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মক’র্তা ও জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন বলেন, ‘শুরুতে করো’নাভাই’রাসের লক্ষণ হিসেবে জ্বর, শুকনো কাশি এবং গলাব্যথা ছিল। দেশেও আম’রা ঘ্রাণ পাচ্ছে না এমন রোগী পেয়েছি।
অ’নেকের ডায়রিয়া হচ্ছে। করো’না রোগে যে উপসর্গগুলো পাওয়া যাচ্ছে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে। যারা ওষুধ উৎপাদনে গবেষণা করছেন এবং চিকিৎসা দিচ্ছেন এসব তথ্য তাদের কাজে লাগবে।’