গা’যওয়াতুল হিন্দ বা হিন্দুস্থানের চূড়ান্ত যুদ্ধে একদল কালো পতাকাবাহী মুসলিম সৈন্য(ইয়েমেনীয় বংশোদ্ভূত শাসক) জয়লাভ করবে।জেরুজালেম মুক্ত করার পরে তারা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। যুদ্ধশেষে বিজয়ীর বেশে ফেরার পথিমধ্যে শাম প্রদেশে ঈসা (আ:) এর সাক্ষাত লাভ করবেন।
গা’যওয়াতুল হিন্দের শহীদরা বদর অথবা ওহুদের যুদ্ধের শহীদদের মত মর্যাদা পাবে।গাযওয়াতুল হিন্দ,সম্পর্কে বলা হয়েছে এটা হবে কাফির মুশরিকদের সাথে মুসলমানদের পৃথিবীর ভিতর বৃহত্তম জিহাদ/যুদ্ধ।এই যুদ্ধে হিন্দুস্তানের মোট
মুসলিমদের এক তৃতীয়াংশই শহীদ হবে,আরেক অংশ পালিয়ে যাবে আর শেষ অংশ জিহাদ চালিয়ে যাবে।মুসলমানদের জয় হবে কিন্তু এটা এতো টাই ভয়াবহ যে হয়তো অল্প কিছু সংখ্যক মুসলিমই বেঁচে থাকবেন বিজয়ের খোশ-আমদেদ করার জন্য।
অ’ন্যান্য বর্ণনায় রাসুল (সা:) একদিন পূর্ব দিকে তাকিয়ে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছিলেন এমন সময় এক সাহাবি রাসুল(সা:) কে জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ আপনি এমন করছেন কেন।রাসূল (সা:)বললেন আমি পূর্ব দিকে বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছি।সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ আপনি কিসের বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছেন?
রা’সূল (সা:)বললেন পূর্ব দিকে মুসলিম ও মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ শুরু হবে,যুদ্ধটা হবে অসম।মুসলিম সেনাবাহিনী থাকবে সংখ্যায় সীমিত কিন্তু মুশরিক সেনাবিহিনী থাকবে সংখ্যায় অধিক।ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা এত বেশি মারা যাবে যে রক্তে মুসলিমদের পায়ের টাকুনি পর্যন্ত ডুবে যাবে।ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা তিন ভাগে বিভক্ত থাকবে: এক ভাগ বিশাল মুশরিক বাহিনি দেখে ভয়ে পালিয়ে যাবে।আর এক ভাগ সবাই যুদ্ধে শহিদ হবেন।শেষ ভাগ আল্লাহর ওপর ভরসা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত জয় লাভ করবেন।
ন’বীজি মুহাম্মদ (সা:) বলেন এই যুদ্ধ বদর সমতুল্য (সুবহানাল্লাহ) তিনি আরো বলেছেন ঐ সময় মুসলিমরা যে যেখানেই থাকুক না কেন তারা যেন সেই যুদ্ধে শরিক হন।
ই’বনেনাসায়ী:খন্ড ০১,পৃষ্টা ১৫২ সুনানে আবু দাউদ খন্ড ০৬ পৃষ্টা_৪২