নিকলী উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ
আশরাফুল ইসলাম তুষারঃকিশোরগঞ্জের নিকলি উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্বনির্ধারিতসম্মেলন ছিল গতকাল শনিবার(৫ অক্টোবর)।শনিবার সকাল ১০ টায় নিকলী জি.সি. সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিকলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিকলী সদর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপের সভাপতিত্বে সম্মেলন শুরু হয়।দুপুর ১২ টায় সম্মেলনের প্রধান অতিথি কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ আফজাল হোসেন এমপি,উদ্বোধক কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল গনী ঢালী লিমন ও প্রধান বক্তা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী সহ নেতৃবৃন্দ সম্মেলনের মঞ্চে উঠার সময় হঠাৎ করেই সভাপতি পদ প্রার্থী জেরিন ও ইমরুলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।সংঘর্ষের সময় হাতাহাতি এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি তে দুই গ্রুপের প্রায় ৮-৯ জন নেতাকর্মী গুরতর আহত হয়েছে বলে জানা যায়।তাদেরকে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়ছে।পরবর্তীতে সংঘর্ষ শেষ হলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের কার্যক্রম আবার শুরু হয়।উল্লেখ্য,সভাপতি পদ প্রার্থী ইমরুল হাসানেকে সম্মেলনে কমিটিতে স্থান না দেয়ার দাবীতে গত বৃহস্পতিবার(৩অক্টোবর) বিক্ষোভ মিছিল করে নিকলী উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ।নিকলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুর রহমান অপরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে অভিযোগ করা হয় সভাপতি পদপ্রার্থী ইমরুলের আপন বড় ভাই বর্তমান উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির এবং তার আপন ছোট চাচা আব্দুল হাসিম ইউরোপীয় ইউনিয়নের জামাত ইসলামের নেতা।ইমরুলের মেজ চাচা মোঃ ইদ্রিস আলী ইদু উপজেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এবং স্থানীয় বিএনপির অর্থের যোগানদাতা।তারা আরো অভিযোগ করেন,ইমরুলের পরিবার নিবন্ধন হারানো সন্ত্রাসী দল জামায়াত ইসলামের অর্থায়নে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আলতাফ নিসা ফাউন্ডেশন ও ইবনে তাইমিয়া মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা।এ ঘটনার জের ধরেই সম্মেলনে সভাপতি পদ প্রার্থী দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে বলে জানা যায়।