বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল স্বাধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বাধীনের মধ্য দিয়ে। আর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল আলোচিত-সমালোচিত এবং প্রত্যাশিত, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঠিক দুই দিন পর ২৫ জুন বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জ বাঙালির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে উন্মোচিত হল স্বপ্নের নতুন দুয়ার। পদ্মা সেতু বাঙালির গর্ব, অহংকার, সক্ষমতা আর মর্যদার প্রতীক। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস যুগিয়েছেন এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মাকে রুখে দেয়ার ষড়যন্ত্র কাটিয়ে স্বপ্ন নিল বাস্তবে রুপ এবং পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপনে আনন্দে মাতোয়ারা কিশোরগঞ্জবাসী। শনিবার সকাল থেকেই আনন্দের ঢেউ শুরু হয় কিশোরগঞ্জে। উৎসব উৎসব আমেজ নিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথকভাবে র্যালি নিয়ে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে মিলিত হয়। পরে একত্রিত হয়ে র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, সদ্য পদন্নোতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ (বিপিএম-বার) জেলা পরিষদ প্রশাসক বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুর রহমান রহমান, সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ আফজল, পৌর মেয়র মো. পারভেজ মিয়া, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বাহাদুর আলী, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়–য়া, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিছ বেগম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, মোস্তফা কামাল, আলী রেজা সুমন, সাজন আহম্মেদ পাপন, এম এ ওবায়েদ, মোহাম্মদ আল-আমিন প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বড় পর্দায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়। সন্ধ্যায় উক্ত স্থানে আতশবাজী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।