গ’ত প্রা’য় ২০বছর আগে দু’রারো’গ্য ব্যাধিতে আ’ক্রান্ত হয়ে আমেনা খাতুনের দিনমজুর স্বামী মা’রা যায়। এরপর থেকে দুই ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন চলে।
এ অ’বস্থায় স’রকার দলীয় নেতা হয়ে যাওয়া সর্ম্পকে দেবরের দ্বারস্থ হয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দেন বিধবার ভাতা পাওয়ার আশায়।এর মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়ে আমেনার নামে সোনালী ব্যাংক শাখায় নিজস্ব হিসাবে প্রতিমাসে ভাতার টাকাও জমা হয়। আর সেই টাকা তিনমাস পরপর গো’পনে উত্তোলন করে আত্মসাত করে আসছেন ‘নেতা করিম’ (এই নামেই পরিচিত)।
এ ধ’রনের ঘ’টনা ঘ’টেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজে’লায়।বিধবা ভাতাভোগি ওই আমেনা খাতুন হচ্ছেন উপজে’লার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃ’ত ওয়াহেদ আলীর স্ত্রী। অ’ভিযুক্ত আব্দুল করিম হচ্ছেন আমেনা খাতুনের সর্ম্পকে দেবর।
স্থা’নীয় আ’ওয়ামী লী’গের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা। কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।জানা যায়, গত রোজার মধ্যে সোনালী ব্যাংক নান্দাইল শাখায় বিভিন্ন উপকার ভোগীদের ভাতা দেওয়ার সময় অন্যান্য বারের মতো ওই নেতা নিজেই ভাতার বইটি নিয়ে ভাতা উত্তোলনে ব্যর্থ হয়ে আমেনা বেগমকে বিভিন্ন কায়দা কৌশলে ব্যাংকে নিয়ে এসে তিন হাজার টাকা উত্তোলন করে সেই টাকা নিজের হাতে নেন।
প’রে আ’মেনা বেগমকে ২০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে একটি অটো করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকেই ঘটনাটি প্রকাশ হতে থাকে।উপজে’লা সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে জানা যায়, আমেনা খাতুনের বিধবা ভাতার তালিকাভুক্ত হন ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি। তাঁর বই নং-৫৪৫৫/১ ব্যাংক হিসাব নং-১৫৮৪। এ পর্যন্ত মোটা টাকা উত্তোলিত হয়েছে ৩১ হাজার ২০০ টাকা।
খ’বর পে’য়ে গ’তকাল বুধবার সকালে ওই গ্রামে গিয়ে আমেনা বেগমকে পাওয়া যায়। তিনি জানান, নিজ ঘরের লাগোয়া একই পরিবারের দেবর সম্পর্কের আব্দুল করিমের কাছে বেশ কয়েক বছর আগে নিজের পরিচয়পত্র ও ছবি জমা দেন। দেবর করিম তাঁকে জানান কোনো কিছু ব্যবস্থা হলেই জানানো হবে। এর মধ্যে দিন চলে গেলেও কোনো ধরনের খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।
জা’নতে চা’ইলে দেবর করিম রাগান্বিত হয়ে যায়। যার ফলে আর কখনো কিছু জানতে চাওয়া হয়নি।এ সময়েই ছুটে আসেন আমেনা বেগম। তিনি তাৎক্ষনিক এর প্র’তিবাদ করে বলেন,আপনি (নেতা করিম) তো আমারে ব্যাংকে নিয়ে গেছেন। আমার হাতে থাকা তিনহাজার টাকাও নিছেন। অহন অতো বড় মিছা কত কিবায় কইন।
এ স’ময় ক’রিম চেয়ার থেকে উছে ওই নারীর দিকে তেড়ে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে মা’রতে যান।নান্দাইল উপজে’লা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইনসান আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তিনি জানার পর ওই নারীর সাথে কথা বলতে গ্রামে যান।
সে’খানে অ’নুসন্ধান করে টাকা আত্মসাতের প্রমান পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এলাকার আরও তিন নারীর বিধবা ভাতার বই ওই করিমের কাছে থাকতে পারে। এ সব ঘটনায় ত’দন্তের পাশপাশি ২/১ দিনের মধ্যেই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উপজে’লা মনিটিরিং কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে।
সে’খানে সি’দ্ধান্ত নিয়ে ওই করিমের বি’রুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হ’বে।