ক’বুতর যা যা যা, ক’বুতর যা…. নয়ের দশকের মন জয় করা গান। তখন না ছিল মোবাইল ফোন, না হোয়াটস অ্যাপ-ফেসবুক। ফলে প্রেমিকাকে প্রেমপত্র পাঠাতে পায়রাই একমাত্র ভরসা। আজকের দিনে সেসব অতীত। প্রযুক্তির কল্যাণেচোখের নিমেষে পৌঁছে যাচ্ছে বার্তা।
তা’রপরেও পা’কিস্তানের স’ন্ত্রাসের বার্তা ছড়াতে ভরসা সেই পায়রা-ই। ফের কাশ্মীর সীমান্তে ধ’রা পড়ল এক স’ন্দেহভাজন পায়রা। যার পায়ে সুকৌশলে আঁটা ছোট্ট একটা চিঠি। কী আছে সেই চিঠিতে?খুঁ’জতে গিয়ে রাতের ঘুম হারাম ভারতীয় পুলিশ কর্তাদের। বিশ্বজুড়ে করোনার দাপ’ট অব্যাহত। পাকিস্তানের অবস্থাও তথৈবচ। এর মাঝেও স’ন্ত্রা’সে ম’দত দেওয়া থেকে ফুরসত পায়নি ইমরান খানের দেশ।
ক’খনও ভা’রত-পা’কিস্তান সীমান্তেযু’দ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, দেদার গু’লি ছুঁ’ড়ছে। ছুঁ’ড়ছে ম’র্টার। তার আ’ঘা’তে প্রাণ যাচ্ছে আম কাশ্মীরবাসীর।কখনও আবার সীমান্ত পেরিয়ে এসে পুলিশ-সেনাকে লক্ষ্য করে চলছে হা’মলা। শহিদ হচ্ছে ভারতীয় জওয়ানরা।
আ’বারকখনও প্র’ত্যুত্তর দিচ্ছে ভারতও। পবিত্র ইদের দিনও রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গের মাটি। আবার এদিনই সামনে এল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পায়রার বিচিত্র মেসেজ।জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় ভারত-আম্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে গ্রামবাসীদের হাতে ধ’রা পড়েপায়রাটি।
তা’র পা’য়ে আ’ঙটা দিয়ে একটি ছোট কাগজ বাঁ’ধা ছিল বলে খবর। মনে করা হচ্ছে, চরবৃত্তি করার জন্য পাকিস্তান পায়রাটিকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সেদিক থেকে উড়ে আসার পর হিরানগঞ্জ সেকটরের কাছে গ্রামবাসীদেরহাতে সেটি ধ’রা পড়ে যায়। এরপর স্থানীয় পুলিশের কাছে খবর গেলে, তারা এসে পায়রাটিকে নিয়ে যায়।
এ প্রস’ঙ্গে কা’ঠুয়ার এসপি শৈলন্দ্র মিশ্র বলেন, “গ্রামবাসীরা পায়রাটিকে ধ’রে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তার একটি পায়েআঙটিতে একটি কাগজ পাওয়া গিয়েছে। তাতে কিছু নম্বর লেখা আছে। দেখে মনে হচ্ছে, কোডেড মেসেজ পাঠানো হচ্ছিল।
” তি’নিআরও জা’নান, কড়া নিরাপত্তার জেরে পাকিস্তানি জ’ঙ্গিরা এপ্রান্তে আসতে পারছে না। তাই পায়রার মাধ্যমেমেসেজ পাঠাচ্ছে। কোডের অর্থ জানতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিশেষজ্ঞরা।