নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান নেতৃত্ব দেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলা শহরের গৌরাঙ্গ বাজার সেতু সংলগ্ন অংশে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা ও দোকান তুলে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে দখলকারীরা ব্যবসা করছিল। জায়গাটির পাশেই পৌর শিশুপার্ক অবস্থিত। শিশুপার্কের মূল ফটকের সামনে নরসুন্দা নদীর পাড়ে এসব অবৈধ দোকান ও স্থাপনার কারণে শিশুপার্কটি চালু করা যাচ্ছিল না। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিয়ে শুরুতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা সদরের মাইজখাপন ইউনিয়নের নীলগঞ্জ বাজারের সেতু সংলগ্ন অবৈধ দোকান এবং মহিনন্দ ইউনিয়নের গালিমগাজী এলাকার কিছু সংখ্যক অবৈধ স্থাপনাসহ তালিকাভুক্ত ২২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সুত্রধর, কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার রাবেয়া আক্তার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
নোয়াখালীতে ১৫০০ একর অবৈধ সম্পত্তি উদ্ধার
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ রিপন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীনে ছোট-বড় খাল পাড়ের ১৫০০ একর সম্পত্তি উদ্ধারে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।
সোমবার ২৩ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত জেলা সদরের মন্নান নগর চৌরাস্তা এলাকায় তিন শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জাকারিয়া।
এসময় পাউবো নোয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সার্বিক সহযোগিতা করে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
অভিযানের সময় ওই এলাকার ১২ ফুট পর্যন্ত খালের পাশে থাকা অবৈধ আধা-পাকা ভবন ও টিনশেড ঘর স্কেভেটর মেশিন দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
নোয়াখালী পাউবো সূত্র জানায়, নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫০০ একর সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছে। এ সম্পত্তিতে প্রায় ১৩০০ অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে এগুলো পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।