নিজস্ব প্রতিনিধি :ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করছে শোলাকিয়া ঈদগাহের ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি।
বৃহস্পতিবার(২৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় শহীদী মসজিদের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,দুই শত বছরের ঐতিহ্য শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই ঐতিহ্যকে বিনষ্ট করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। শোলাকিয়া মাঠে মডেল মসজিদের স্থাপন করা এক একটা পিলার আমাদের বুকে এসে লাগছে। তাই শোলাকিয়া ময়দানের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য আমরা প্রয়োজনে কাফনের কাপড় মাথায় নিয়ে মাঠে নামবো। তবুও শোলাকিয়া মাঠে বিল্ডিং নির্মাণ আমরা প্রতিহত করবো।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ড.খলিলুর রহমান খান,জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ জামী,মাওলানা ইলিয়াস আমিনী,জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া,সদর উপজেলার সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান শেখ সেলিম কবির প্রমুখ।
বক্তাগণ আরো বলেন, উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে।জনশ্রুতি রয়েছে পবিত্র মক্কা-মদিনার পরে সবচেয়ে বড় জামাত হয় শোলাকিয়া মাঠে।১৮২৮ সালের দিকে গোড়াপত্তন হওয়া শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে প্রায় দুইশত বছর যাবত ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
তবে ঈদুল ফিতরের সময় স্থান সংকুলান না হওয়ায় লক্ষ লক্ষ মুসল্লী আশেপাশের সড়ক,খোলা জায়গা,এমনকি বাড়ির উঠানেও নামাজ আদায় করেন।
এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে পরিকল্পনাধীন কিশোরগঞ্জ জেলা কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণে ঐতিহাসিক শোলাকয়া ঈদগাহ মাঠ নির্ধারন করায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
কিশোরগঞ্জ বাসীর অভিমত শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠটি ঐতিহ্যবাহী হয়েছে ঈদগাহ মাঠ হিসেবে,মসজিদ হিসেবে নয়।ওয়াকফকারীগণ এই মাঠ ঈদগাহ হিসাবে দান করেছেন,মসজিদ নির্মাণের জন্য নয়।
খোলা আকাশের নিচে খোলা মাঠে অধিক সওয়াবের আশায় মুসল্লীগণ নিজ নিজ এলাকার মসজিদ ছেড়ে শোলাকিয়ার খোলা মাঠে নামায আদায় করতে আসেন,তারা মসজিদে নামায পড়তে আসেন না।শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠটি উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম ঈদ জামাতের স্থান।এ স্থানে জেলা কেন্দ্রীয় মডেম মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করে ঈদগাহের ঐতিহ্য ক্ষুন্ন করা ও মাঠের আয়তন ছোট করা উচিত নয়।
বিশালাকার জেলা কেন্দ্রীয় মসজিদ কমপ্লেক্সটি শোলাকিয়া ঈদগাহের পশ্চিম পার্শ্বে গরু হাটে স্থাপন করলে মসজিদ কমপ্লেক্সসহ শোলাকিয়া মাঠের আয়তন ও এর ঐতিহ্য রক্ষা হবে।সপ্তাহের শুক্রবার গরুর হাট বসে,জুমু’আ নামাজের হাজার হাজার মুসল্লী ও দুই ঈদের নামাযে আসা লাখো লাখো মানুষ গবাদী পশুর মলমূত্রের কারণে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
শোলাকিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী গরু হাট শহরের বাইরে স্থানান্তর করে গরু বাজারের স্থানে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে পরিকল্পনাধীন কিশোরগঞ্জ জেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করার জন্য কিশোরগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবী জানায় মানববন্ধনে বক্তারা