বাংলাদেশের উ’পকূলে প্র’বেশ করেছে ‘আ’ম্পান’, নি’হত ২।
বাংলাদেশের উ’পকূলে ঢুকে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। সুপারসাইক্লোনটির বর্ধিতাংশ অতিক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশের সীমানা। নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অফিস।এরইমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে অধিকাংশ মানুষকে। আম্পানের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি হচ্ছে। পটুয়াখালি ও ভোলায় গাছ চাপায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সেই সা’থে ফুলে ফেঁপে উঠেছে সাগর ও নদ-নদী। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সাথে বরগুনা, বরিশাল, বাগেরহাটসহ উপকূলের বেশিরভাগ জেলায় জারি রয়েছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।
আ’বহাওয়া অফিস জানিয়েছে রাত বারোটা নাগাদ বাংলাদেশ সীমানা অতিক্রম করতে পারে সুপার সাইক্লোনের প্রবল অংশটি।বাংলাদেশের আগেই অনেকটা দুর্বল হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছে ঝড়টি। এর প্রভাবে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড় হচ্ছে। ভূমিধসের পাশাপাশি উপড়ে পড়েছে গাছপালা, বিধ্বস্ত হয়েছে বহু বসতবাড়ি।
রা’জ্যের প্রায় ৩ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৪ পরগনাসহ বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তাণ্ডব অতিক্রম করতে সময় লাগতে পারে ৪ ঘণ্টা।ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। এদিকে, আম্পানের প্রভাবে শ্রীলঙ্কায় ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রাণ গেছে ২ জনের।