বাং’লাদেশে মা’ত্র ২১ দিনেই তৈরি হলো বৃহত্তম ক’রোনা হাসপাতাল, কী থাকছে এই হাসপাতালে।
বাং’লাদেশে দি’ন দিন বাড়ছে করোনা ভা’ইরাস সংক্র’মণ।
প্র’তিদিনই আ’ক্রান্তে’র সংখ্যায় গড়ছে নতুন রে’কর্ড।
এ’ই মু’হূর্তে মৃ’ত্যু’র সংখ্যা কমা ছাড়া দেশের মানুষের জন্য কোনো সুখবর নেই।
ব’রং বি’শ্বে করোনা আ’ক্রা’ন্তের তালিকায় এখন পর্যন্ত বাং’লাদেশের অবস্থান ঊর্ধ্ব’মুখী রয়েছে।
এ’র আ’গে উহান শ’হরে দশ দিনে হাসপাতাল তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো চীনের কর্তৃপক্ষ।
কি’ন্তু ঢা’কার এই হাস’পাতালটি হলো একুশ দিনে।
অ’বকাঠামো অবশ্য আগেই বানানো ছিলো।
শু’ধু বসানো হয়ে’ছে শয্যা ও আনু’ষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
বে’সরকারি উদ্যোগ ব’সুন্ধরা গ্রুপ তাদের জমি ও অব’কাঠামো ব্যবহার করতে দিলেও হাসপাতাল বানা’নোর মূল কাজটি করছে বাংলাদে’শের সরকারই।
ঢা’কার ব’সুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশে আইসিসিবি- ইন্টার’ন্যাশ’নাল কনভেন’শন সিটি বসুন্ধ’রার চারটি কনভে”নশান সেন্টার এবং একটি প্রদর্শনী তাঁবুতে গড়ে উঠছে দেশের সবচেয়ে বড় এই কোভিড-১৯ হাসপাতাল।
কী থা’কছে এ’ই হাসপাতালে:
অ’স্থায়ী হাসপা’তালটি নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো’হাম্মদ মনিরু’জ্জামান বিবি’সিকে জানান, তিনটি কনভেনশন সেন্টার ও একটি প্রদর্শনী তাঁবুতে দুই হাজার তেরটি শ’য্যা পাতা হয়েছে।
তি’নি ব’লেন- “এখানে আসলে আই’সোলে’শন করে রাখা হবে আর পোর্টেবল অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
দু’ই বে’ডের মাঝখানে আ’মরা বিদ্যু’তের লাই’ন টেনে দিয়েছি ওখানে সকে’ট আছে।
১৪’ই এ’প্রিল থেকে কাজ শুরু করে এরই মধ্যে দুই হা’জারের বেশি শয্যা পাতা হলেও কবে থেকে রোগী’দের সেবা দেওয়া হবে তা চূড়া’ন্ত হয়নি।
এ’ই বি’ষয়ে বসু’ন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থা’পনা পরিচা’লক সায়েম সোবহান আ’নভীর বিবিসিকে জানান, তারা সর’কারকে তাদের কনভেনশন সেন্টারগুলো এবং এর সাথে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাস পানি ইত্যাদি ব্যবহার করতে দিচ্ছেন।
ডা’ক্তার, নার্স বা যন্ত্রপাতি এসবের ব্যবস্থা সরকার নিজে করবে।
অ’স্থায়ী হাস’পাতালটি পরিচা’লনার জন্য এরই মধ্যে একজন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য অ’ধিদপ্তর।
হা’সপাতাল প’রিচালনার খুঁটিনাটি বিষয়গু’লো এখনো চূড়া’ন্ত না হওয়ায় কোন ম’ন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
ত’বে এ’ই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান; দৈনিক আট ঘন্টা করে তিন ধাপে দা’য়িত্ব পালনের জন্য ৩১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ৬৩০ জন মেডিকেল অফিসার, ১২৬০ জন সিনি’য়র নার্স ও ২৫২০ জন স্টাফ নার্সের জন্য চাহিদাপত্র প্রস্তুত করেছেন তারা।