রাজধা’নীর গাবতলীর পশুর হাটে দুটি গরু তুলেছেন যশোরের গরু ব্যবসায়ী আসমত আলী গাইন। ওই পশুর হাটে তাঁর দুটো গরু’ই সবচেয়ে বড়। দামও হাঁকাচ্ছেন বেশি। এর ভেতরে বড় গরুটার নাম রেখেছেন ‘বাংলার বস’। আসমত বাংলার বসের দাম হাঁকা’চ্ছেন ৩০ লাখ টাকা! কিন্তু শেষমেশ তিনি গরুটি ১৫ লাখ টাকায় বি’ক্রি
করতে চান।আসমত আলী ‘মীম ডেইরি ফার্মে’র’ মালিক ও পুরোদস্তুর গরু ব্যবসায়ী। বাড়িতেই তিনি ফার্মটি করেছেন। সেখানে বর্তমানে ১৮টি গাভি আছে। দিনে অন্তত ২০০ লিটার দু’ধ সংগ্রহ করেন তাঁর খামার থেকে। আসমত আলী চান দেশের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত গরুর ব্যবসায়ী হতে। সেই প্রত্যয়ে তিনি গরুর রাখাল থেকে হয়ে উঠেছেন গরুর খামারি।আসমত আলী গাই’নের দাবি,
বাংলাদেঃশের সবচেয়ে বড় গরুটা তাঁর। গরুটির শরীরে ৩৮ মণ মাংস আছে। সেজন্য মনিরামপুরে প্রাণিস’ম্পদ কার্যালয় থেকে তিনি সম্মাননাও পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যশোরের মনিরামপুর থেকে দুটি গরু এনেছি। এই হাটে আমার দুটো গরুই সবচেয়ে বড়। বাংলার বসের দাম চাচ্ছি ৩০ লাখ টাকা। করোনার ভেতরেও শঙ্কা নিয়ে এসেছি এখানে। শেষ পর্য’ন্ত বাজারের অবস্থা যদি খারাপ
দেখি, তাহলে ১৫ লাখ টাকা হলেও বসকে বি’ক্রি করে দেব। আরেকটি গরুর নাম বাংলার সম্রাট। দুটো গরু মিলে ২৫ লাখ টাকা হলে ছেড়ে দেব।’কুষ্টিয়া থেকে গত শুক্রবার রাতে দুটি গ’রু নিয়ে এসেছেন মো. জিয়ারুল ইসলাম। দুটিই বাড়িতে পোষা দাবি করে দাম হাঁকাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা। জিয়ারুল বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত ২০ লাখ
টাকা দাম চাচ্ছি। কি’ন্তু আট লাখ টাকা হলেও ছেড়ে দেব। এবার বাজারের অব’স্থা ভালো না। কোনো ক্রেতা নেই। তবে হয়তো আরো দুদিন পর থেকে বিক্রিটা মূলত শুরু হবে।’আরো তিনজন গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের ভেতরে নাসির উদ্দিন নামের একজন চারটি গরু এনেছেন হাটে। চারটি গরুর মোট
দাম চাচ্ছেন ২৫ লাখ টাকা। নাসির উদ্দি’ন বলেন, ‘১৪ লাখ টাকা হলে সব গরুই বিক্রি করে দেব।’রাইসুল আজম নামের আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি একটি গরু এনেছি। দাম চাচ্ছি ছয় লাখ টাকা। সাড়ে তিন লাখ হলেও বি’ক্রি করে দেব।’