কখনও ফু’ফু, ক’খনও নানী আবার কখনও পুলিশ কর্মকর্তা কোলে তুলে আদর করছেন। নানা-মামার কাছেও আদরের কমতি নেই।
তারপরও কা’ন্না থা’মছে না দেড় বছরের শি’শু রোহানের।শি’শুটির বাবা রমজান আলী একটি মা’মলায় কা’রাগারে থাকা অবস্থায় দু’র্বৃত্তরা মা রহিমা খা’তুন ওরফে রাখিকে কু’পিয়ে হ’ত্যা করেছে। রমজান আলী এখনও কা’রাগারে থাকায় মমতার আশ্রয় খুজে না পেয়ে শি’শু রোহান সারাক্ষণ কা’ন্নাকাটি করছে।
নিকট আ’ত্মিয়রা বল’ছেন, তার এই কা’ন্নার কারনে পরিবারের অন্যরাও ঘুমাতে পারছেন না। সবাই আদর-যত্ন কর’লেও কা’ন্না থামছে না রোহানের।তা নিয়ে আনন্দে মেতে ছিল গোটা পরিবার।
তবে রাখি’র স্বা’মী রমজান আলী গ্রামের কতিপয় মানুষের সঙ্গে মিশে কিছুটা খা’রাপ পথে যেতে শুরু করে।এভাবে তার সংসার চললেও আশা ছিল দ্রুত স্বামী জা’মিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি আসবে।
আবার তার ছো’ট্ট সং’সার হাঁসি ফুটবে। কিন্তু গত ১৬ মে রাতে তার বাড়িতে প্রবেশ করে ধা’রালো অ’স্ত্রদিয়ে কু’পিয়ে রাখিকে হ’ত্যা করে বাড়ির উঠানে ফে’লে রেখে যায়।ঘ’টনার রাতে রাখি ছেলেকে নিয়ে স্বামীর ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন।
দু’র্বৃত্তরা তা’কে কেন হ’ত্যা করেছে আজো তারা নিশ্চিত হতে পারেনি। রাখি’র বাবা নূর মোহাম্মদ বাদি হয়ে মহেশপুর থানায় একটি হ’ত্যা মা’মলা দা’য়ের করেন। পুলিশ সামাউল ইসলাম নামের একজনকে গ্রে’প্তার করেছেন। বাকি আসামীরা গ্রে’প্তার হলে হ’ত্যাকা’ন্ডের মূল কারন প্রকাশ পাবে বলে তিনি জানান।
নুর মোহাম্মদ এই শি’শুটিকে কোন স’ন্ত্রাসীরা মায়ের কোলছাড়া করলো, তাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।এ ব্যাপারে মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা মহেশপুর থানার ওসি (ত’দন্ত) রাশেদুল আলম জানান, ঘটনার পরই তারা একজন আ’সামি গ্রে’ফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।সে নিজেকে হ’ত্যাকা’ন্ডে জ’ড়িত থাকার কথা জানিয়ে অন্যদের নাম প্রকাশ করেছেন।
যা গ্রে’প্তারের স্বা’র্থে এখ’নই বলতে চাননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা।তিনি আরো জানান, বাচ্চাটি দেখলে আসলেই খুব খা’রাপ লাগে। তারা যতটুকু সম্ভব বাচ্চাটির খোজখবর রাখেন। তাদের অনেক কর্মকর্তা বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে আদরও করেন।