আব্দুর রহমান পে’শায় ঢাকা জ’জকোর্টের মুহুরি। পুরান ঢাকার ক’সাইটুলি এলাকায় তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এক রু’মের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী হাসিনা বে’গম দম্পতির একমাত্র সন্তান শিফাত (৯), একটি মাদ্রাসায় প’ড়ালেখা করতো। বেশ ভা’লোই কেটে যাচ্ছিলো তাদের দিন।
বৈশ্বিক মহামারি ক’রোনার কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন আব্দুর রহমান। বুদ্ধি করে ছেড়ে দেন পু’রান ঢাকার ভাড়া নেওয়া বাসাটি। কিন্তু বাড়িওয়ালার দাবি জু’ন মাসের পর ছাড়তে হবে বাসা।
তাই ঘরের আ’সবাবপত্র রেখেই সপরিবারে গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম চলে যান তিনি।সোমবার (২৯ জুন) স’কালে বাসা ছেড়ে দিয়ে মালামাল নিয়ে যে’তে মুন্সিগঞ্জ থেকে মর্নিং বার্ড লঞ্চে করে ঢাকায় আসছিলেন আব্দুর রহমান।
তবে তা’দের লঞ্চটি টার্মিনালে নোঙর করার আগেই চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূরী-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় মর্নিং বার্ড লঞ্চ। প’রে ফা’য়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাদের ম’রদেহ উদ্ধার করে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপতাল মর্গে মরদেহ শনাক্ত করতে এসে নি’হত হাসিনা বেগমের বোন হামিদা বেগম এসব ত’থ্য জানান।তিনি আরও বলেন, আজকেই তাদের বাসা ছে’ড়ে মালামাল নিয়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
তাদের ছে’লেটিকে বা’ড়িতে রেখে আসার কথা ছিল। কিন্তু সে বাড়িতে থাকতে চায়নি বলেই বাধ্য হয়ে তাকেও নিয়ে আ’সতে হয়েছিল। একটি দুর্ঘটনায় ঝড়ে গেলো পুরো একটি পরিবার।