ক’রোনাভা’ইরাসেের কা’রণে দু’ই মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে চালু হচ্ছে গণপরিবহন তথা বাস, নৌযান ও ট্রেন।
তবে স্বা’স্থ্যবিধি মে’নে সীমিত পরিসরে চলার কারণে বাসেরে ভাড়া আগের তুলনায় বাড়লেও নৌযানের ক্ষেত্রে তা বা’ড়ছে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শুক্রবার বি’আইডব্লিউটিএ ভবনে ল’ঞ্চ মালিক সমিতি ও নৌযান শ্র’মিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বি’আইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, ‘ভাড়া বাড়ানোর বি’ষয়ে আমাদের মধ্যে কো’নো সি’দ্ধান্ত হয়নি। শুক্রবারের বৈঠকে মূলত কীভাবে স্বা’স্থ্যবিধি মেনে ল’ঞ্চ চলাচল শুরু করা যায় তা নিয়ে আ’লোচনা হয়েছে।
এদিকে নৌ’পথে যা’ত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বা’স্থ্য অধিদপ্তর। এ নির্দেশনা মেনে নৌ’পথে যাত্রী পরিবহন করতে হবে।
এক নজরে দে’খে নিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৪ নির্দেশনা-১) নৌপথে যাত্রী পরিবহন স্টেশনে জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে, নিরাপত্তা এবং জীবণুমুক্তকরণ পদ্ধতি মা’নসম্মত করতে হবে, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোভিড-১৯ এর প্রতিরাধ ও নিয়ন্ত্রণ স’ম্পর্কে জ্ঞা’ন থাকতে হবে এবং মাস্ক, গ্লাভস ও জী’বাণুমুক্তকরণ দ্রব্যাদির পর্যাপ্ত মজুত থাকতে হবে।
৩) স্টে’শনে আসা এবং বে’র হয়া যাত্রীদের তা’পমাত্রা মাপার জন্য ফেরি টার্মিনালে তাপমাত্রা নির্ধারকযন্ত্র স্থাপন করতে হবে। যথাযথ শর্তাবলি মেনে ফেরি টার্মিনালে এ’কটি জরুরি এলাকা থাকতে হবে, যেসব যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.৩ সে: বা ৯৯+ ফা. এর ও’পরে থাকবে, তাদের এই জরুরি এলাকায় অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন রাখতে হবে এবং প্রয়োজন মতো চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।
৫) ফে’রি টা’র্মিনালগুলোতে জনগণের জন্য ব্যবহার্য এবং জনসাধারণের চলাচলের স্থানগুলোকে পরিষ্কার এবং জী’বাণুমুক্তকরণের হার বাড়াতে হবে। ট’য়লেটগুলোতে তরল সা’বান (অথবা সাবান) থাকতে হবে, স’ম্ভব হলে হ্যা’ন্ড স্যানিটাইজার এবং হাত জী’বাণুনাশক যন্ত্র স্থাপন করা যেতে পারে।
৯) প্র’তিবার নৌ’যান ছেড়ে যাবার পূর্বে কেবিন ও ব্রিজের পৃষ্ঠতল প’রিষ্কার ও জী’বাণুমুক্ত করতে হবে, সিট কভারগুলোকে প্রতিনিয়ত ধোয়া, পরিষ্কার এবং জী’বাণুমুক্ত করতে হবে।১২) ফেরি টার্মিনাল ও নৌযানে যা’ত্রীদের স্বা’স্থ্যসচেতন করার জন্য রেডিও, ভিডিও ও পোস্টারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করতে হবে।
১৩) যু’ক্তিসংগতভাবে পরিবহনের ধারণ ক্ষমতা সজ্জিত করতে হবে এবং সীমিত আকারে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে যা’ত্রীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেসব নৌ’যান মাঝা’রি ও উচ্চ ঝুঁ’কিসম্পন্ন এলাকা হতে ছেড়ে যাবে অথবা পৌঁছাবে অথবা ওই এলাকা দিয়ে যাবে, সেসব ক্ষেত্রে যাত্রীদের আলাদা সিটে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসতে হবে।
১৪) য’দি নি’শ্চিত কো’ভিড-১৯ এর রো’গী পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী জী’বাণুমুক্ত করতে হবে।