ক’রোনাভা’ইরাসে ঘিরে অর্থনৈতিক মন্দায় সোনার উত্থান-পতন চলছে আন্তর্জাতিক বাজারে। যুক্তরাষ্ট্রে আকস্মিক কর্মসংস্থান বৃ’দ্ধিতে জেগে উঠেছে শেয়ারবাজারও।
এতে শুক্র’বার সো’নার দাম কমে দুই মাসে সর্বনিম্ন হয়। এর মধ্য দিয়ে গত এক সপ্তাহে মূল্যবান এ ধাতুর দাম ক’মেছে ৪ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র বা বিশ্ব অর্থনীতি সাধারণত মন্দার দিকে গেলে সোনার দাম বাড়তে থাকে।
কারণ ত’খন বি’নিয়োগকারীরা নিরাপদ হিসেবে সোনা ক্রয় করে মজুদ করে রাখার জন্য। আর অর্থনীতি চা’ঙ্গা হলে সোনার দাম কমে। কারণ তখন বিনিয়োগকারীরা সোনা ছেড়ে শেয়ারবাজারের দিকে ঝুঁকে পড়ে।
গোল্ড নি’উজলেটারের স’ম্পাদক ব্রিয়েন লান্ডিন বলেন, ‘অর্থনীতির সব ডাটা ও বড় নির্দেশকগুলো যখন নি’ম্নমুখী ত’খন আমেরিকায় চাকরি বাড়ছে, এটা ছোট হলেও এ সময়ের জন্য বড় খবর। ফলে মানুষ সোনা ও রুপা মজুদ না রেখে বিক্রি করেছে, যা দাম কমাতে ভূমিকা রেখেছে।’
শুক্রবার দে’ওয়া যুক্ত’রাষ্ট্রের শ্রম দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ২৫ লাখ চাকরির সুযাগ তৈরি হয়েছে। এতে দেশটিতে বে’কারত্ব ক’মে হয়েছে ১৩.৩ শতাংশ।শুক্রবার বৈশ্বিক অগ্রিম বাজারে সোনার দাম ৪৪ দশমিক ৪০ ডলার বা ২.৬ শতাংশ কমে হয়েছে প্রতি আউন্স এক হাজার ৬৮৩ ডলার।
পুরো স’প্তাহের হি’সাবে সোনার দাম কমেছে প্রায় ৩.৯ শতাংশ। এর পাশাপাশি রুপার দামও কমেছে ৫.৫ শতাংশ। বি’শ্ববাজারের পাশাপাশি সোনার দাম কমেছে ভারতেও।
শুক্রবার ভা’রতে ১০ গ্রা’ম সোনার দাম ৪৬ হাজার ৩৫০ টাকায় নেমে যায়। এদিন সোনার দর প্রায় ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।ইকোনমিস্টের এক জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হ’য়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে ৭২ লাখের বেশি লোক চাকরি হারাবে।
এতে এ’প্রিলে বে’কারত্বের হার বেড়ে হবে ১৯ শতাংশ, যা দ্বিতীয় বিশ্বযু’দ্ধ-পরবর্তী রেকর্ড ১৪.৭ শতাংশের বেশি। কিন্তু নতুন কর্মসংস্থান হওয়ায় সে আ’শঙ্কা আপাতত দেখা যাচ্ছে না, যার হাওয়া লেগেছে সোনার বাজারে।