করো’নাভাইরাস সৃষ্ট মহা’মা’রি রুখে দিতে চিকিৎসকদের বলা হচ্ছে ‘সম্মুখ সারির যো’দ্ধা’। শিফা এম মুহা’ম্ম’দ এই লড়াইয়ে সামিল হওয়া তেমনই এক যো’দ্ধা।করো’নায় ভারতের অন্যতম বিপর্যস্ত রাজ্য কেরালার বাসিন্দা তিনি।
ভা’রতে এই রা’জ্যেই সর্ব প্রথম করো’না রোগী শনাক্ত হয়।রাজ্য সরকার উপকূলীয় শহর কানুরের পারিয়ারাম মে’ডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে অস্থায়ীভাবে করো’না রোগীর চিকিৎসায় কাজে লাগিয়েছে।
শিফা এই হা’সপাতালেরই চি’কিৎসক। রাত-দিন এক করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীর সেবা করছেন তিনি।করো’না নামক ভ’য়াল ভাইরাসের স”ঙ্গে যু’দ্ধ করে ছিন’িয়ে আনছেন রোগীর জীবন।
গত মা’র্চের ২৯ তারিখে ছিল শিফার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন। এদিন দুবাইয়ের ব্যবসায়ী আনুস মুহা’ম্ম’দের স”ঙ্গে তার বিয়ের তারিখ নির্দিষ্ট করা ছিল।বিশ্বজুড়ে এমন পরিস্থিতির কারণে বিয়েটা সা’দামাটাভাবে করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
জাঁ’কজমক কো’নো আয়োজনই ছিল না। এমনকি তার পরনে ছিল না বিয়ের পোশাক। ডাক্তারি গাউন পরেই শিফা বসেছিলেন বিয়ের মঞ্চে। উদ্দেশ্য বি’য়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেই তিনি ফিরে যাব’েন কর্মক্ষেত্রে।কিন্তু বিধিবাম! বর আসার কিছুক্ষণ আগে হাসপাতাল থেকে একটি ফোন আসে।
জা’নানো হয়, শি’ফার তত্ত্বাবধানে থাকা রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন। স”ঙ্গে স”ঙ্গে বিয়ের আয়োজন বাতিল করে হাসপাতালে ছুটে যান শিফা। যাওয়ার সময় বলেন, ‘বি’য়ে পরেও করা যাব’ে কিন্তু রোগীর জীবন অ’পেক্ষা করবে না।’
এদিকে দ্রুত বি’য়ে বা’তিলের খবর পৌঁছে দেয়া হয় বর আনুস মুহা’ম্ম’দের কাছে। শুনে তিনি বির’ক্ত হননি। বরং খুশিই হয়েছেন হবু স্ত্রীর ওপর। আনুস মুহা’ম্ম’দ বলেন, ‘আমা’র হবু স্ত্রী চিকিৎসক। তার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্রত রোগীর সেবা। এ কাজে আমি বাধা দেব কেন?’
মে’য়ের এ’মন কাজে শিফার বাবা মুককাম মুহা’ম্ম’দও খুশি হয়েছেন। বিয়ের চেয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনে মেয়ের নিবেদনে তিনি নিজেকে গ’র্বিত পি’তা বলে মনে করেন। তার মতে, সকল চিকিৎসকদের পেশাগত জীবন এমনই হওয়া উচিত।
এ’দিকে এ’ই অ’সাধারণ কাজের পর শিফার প্রশংসায় মেতেছে রাজ্যবাসী।তবে এতটা প্রশংসা নিতে রাজি নন শিফা।
তিনি গ’ণমাধ্যমে বলেছেন, ‘আমা’র সহকর্মীরাও অনেক ব্যক্তিগত কাজ ফেলে রাত-দিন করো’না রোগীর সেবা করছেন। তাদের কাজ কোনোভাবেই আমা’র চেয়ে ছোট নয়। এটা আমা’র মহানুভবতা নয়,