বিয়ের আসর থেকে স্কুলে গেল কনে
জেলা প্রশাসনের হট লাইন ৩৩৩ তে বাল্য বিবাহের সংবাদ পেয়ে বিবাহটি বন্ধের জন্য সদর উপজেলার কর্শাকড়াইল ইউনিয়নে কনের বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো: আব্দুল কাদির মিয়া। এসময় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মোছা: মাসুমা আক্তার, কর্শাকড়াইল ইউপি চেয়ারম্যান জনাব বদর উদ্দিন, মহিনন্দ ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মো: মনসুর আলি, পুলিশ ফোর্স, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ সঙ্গে ছিলেন। দেখা যায় কনের বয়স মাত্র ১৪ বছর এবং অষ্টম শ্রেনির একজন ছাত্রী । গত ১৫/১০/২০১৯ তারিখে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে বিবাহের প্রক্রিয়া করা হয় এবং আজকে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে বিয়ের প্রক্রিয়া আইনসিদ্ধ নয় এবং এর মাধ্যমে বিয়ের আইনগত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়না। কনের মা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের নিকট হতে কনেকে অপ্রাপ্ত অবস্থায় বিয়ে না দিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে নিবে মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়। কনে লাবিবা আবার স্কুলে যাওয়ার স্বপ্নে আপ্লুত হয়ে ওঠে। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকলকে বাল্যবিবাহ রোধে জনসচেতনতা জাগিয়ে তোলার আহ্বান করেন।