ডেস্ক রিপোর্টঃ পিঁয়াজ নিয়ে হইহুল্লুর কান্ডের মাঝেই গত এক সপ্তাহ আগে চিকন-মোটা সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে হুরহুর করে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে ময়দাও এখন পাগলা ঘোড়ার মত। মাছ-মাংস-সবজির দামও লাগামহীনভাবে উপরের দিকে উঠছে। সয়াবিন তেল প্রতি ড্রামে বেড়েছে দুই হাজার টাকার মত। সবকিছু মিলিয়ে বাজার হয়েছে বেসামাল। এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সরকারের নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থা এ ব্যাপারে শুধুমাত্র মিডিয়াতে প্রচার- প্রোপাগান্ডা করে চুপ।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ও যেন বাজারের উর্ধগতি দেখে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের কোন মাথা ব্যথা আছে বলে মনে করছেন না ভুক্তভোগীগণ। নামকাওয়াস্তে চলছে ক্যাবের মনিটরিং ব্যবস্থা। পযর্বেক্ষকদের অভিযোগ , সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল এবং নিয়মিত মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় বাজারের এ লাগামহীম অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং হলে সিন্ডিকেটের লাগামহীম দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমত।
অন্যদিকে আমদানিনির্ভর ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকলেও তারাও বরাবর এ ব্যাপারে নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে আছেন।
যখনই আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পর দেশে হুলুস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তখনই তারা নড়েচড়ে বসে। তবে সময়মতো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে তাদের এ ভূমিকা বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কার্যত কোনো কাজে আসছে না। বরং তাদের এ বিলম্বিত তৎপরতার কারণে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের অসাধু সিন্ডিকেট বাজার পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল করে তোলার সুযোগ পাচ্ছে এবং করছেও তাই।
ব্যবসায়ী নেতারা জানান, পিঁয়াজের বাজার দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল থাকলেও মাত্র কদিন আগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এ ব্যাপারে একটু তৎপরতা শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে তারা ৪৬ জন আমদানিকারকের তালিকা তৈরি করে পর্যায়ক্রমে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব আমদানিকারক পিঁয়াজ আমদানির মধ্য দিয়ে বিদেশে অর্থপাচার এবং অতিমুনাফা করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। অথচ পিঁয়াজের আকাশ্চুম্বী দামের কারণে ভোক্তাদের পকেট থেকে চলে যাচ্ছে বিশাল অংকের অর্থ। যদি প্রথম থেকে এব্যাপারে
শুল্ক গোয়েন্দারা সতর্ক থাকত তাহলে পিঁয়াজ আমদানিকারক সিন্ডিকেটের লুটপাট বন্ধ করা যেত বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। তারা আরো বলেন, সঠিক সিদ্ধান্ত এবং মনিটরিংয়ের অভাবে বাজার আজ অশান্ত ও বেপরোয়াভাবে বেড়ে যাচ্ছে সকল পণ্যের দাম।