কি’শোরগঞ্জের ইটনায় দুই বছর বয়সী ভাতিজি স্মৃ’তি আক্তার হ’ত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আ’দালতে ১৬৪ ধারায় স্বী’কারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দিয়েছেন ছোট চাচা মোহন মিয়া (৩২)।
শ’নিবার (২৩ মে) বিকেলে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জু’ডিশিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের খাস কামরায় মোহন মিয়ার স্বী’কারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানব’ন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কিশোরগঞ্জ জে’লা কা’রাগারে পাঠানো হয়।মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা ইটনা থানার পুলিশের পরিদর্শক (ত’দন্ত) মোহাম্মদ আহসান হাবীব আ’দালতে মোহন মিয়ার ১৬৪ ধারায় স্বী’কারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দেয়ার বি’ষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘ’রের কাজ শুরু করার পর গত বুধবার (২০ মে) দুপুরে আব্দুর রহিম ও তার পক্ষের লোকজন ঘর নির্মাণে বা’ধা দেয়।এ নিয়ে উভ’য় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও ধ’স্তাধ’স্তির ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় লোকজন উভ’য়পক্ষকে নিবৃত্ত করে এবং বি’ষয়টি বসে মীমাংসা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।বাড়িতে থাকা দুই ভাই দুলাল মিয়া (৪০) ও মোহন মিয়া (৩২) প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে ফন্দি আঁটেন।
এ’কপর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেন বাড়ির শি’শুদের মধ্যে থেকে কাউকে খু’ন করে এর দায় প্রতিপক্ষ আব্দুর রহিমদের ও’পর চা’পানো হবে।পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওইদিনই সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির একটি ঘরে ঘুমিয়ে থাকা দুই বছর বয়সী ভাতিজি স্মৃ’তি আক্তারকে মোহন মিয়া তুলে এনে মাটিতে সজো’রে আছড়ে ফে’লে।
এ’রপর পরই দুই ভাই দুলাল ও মোহন সাজানো নাটকের মতো প্রতিপক্ষের লোকজন চড়াও হয়ে শি’শুটিকে টেঁটাবিদ্ধ করে মে’রে ফে’লেছে বলে চি’ৎকার ও শোরগোল শুরু করেন।এমনকি তাদের বি’রুদ্ধে মা’মলা করার প্রস্তুতিও নেন দুলাল-মোহনরা। কিন্তু পুলিশের কৌশলী ত’দন্তে বেরিয়ে আসে প্রকৃত ঘটনা।
শু’ক্রবার (২২ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা বাজারে অ’ভিযান চা’লিয়ে মোহন মিয়াকে আ’টক করে পুলিশ।